ব্যালন ডি’অর র‌্যাঙ্কিং: এগিয়ে বেলিংহাম-এমবাপ্পে, আছেন মেসিও


আগামী ব্যালন ডি’অর কে জিতবেন; এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে ইউরো এবং কোপা আমেরিকা শেষে। পাওয়ার র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা ফুটবলার জাতীয় দলের জার্সিতে ফ্লপ হলে র‌্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে পড়তে পারেন। আবার খানিকটা পেছনে থেকেও ইউরো কিংবা কোপা আমেরিকায় আলো কেড়ে জিতে নিতে পারেন ব্যালন ডি’অর। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে জার্মান বুন্দেসলিগা, ইতালির সিরি আ’ এবং ফ্রান্সের লিগ ওয়ানের লিগ শিরোপার সুরহা হয়ে গেছে। লা লিগায় রিয়ালের লিগ শিরোপা জয় কেবল সময়ের ব্যাপার। শেষ পর্যন্ত লড়াই হতে পারে কেবল প্রিমিয়ার লিগে। ওদিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল সামনে। ব্যালন ডি’অরের সেরা ২০ এ কারা থাকবেন ওই ধারণাও তাই পাওয়া গেছে। পারফরম্যান্সের বিচারে যে তালিকায় ওপরের দিকে আছে রিয়াল মাদ্রিদের জুড বেলিংহাম, পিএসজির কিলিয়ান এমবাপ্পে এবং বায়ার্ন মিউনিখের হ্যারি কেইন। ইউরোপের বাইরের একমাত্র ফুটবলার হিসেবে তালিকায় আছেন লিওনেল মেসি। মূল লড়াইয়ে বেলিংহাম-এমবাপ্পে-কেইন: রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে লা লিগা জয়ের পথে আছেন বেলিংহাম। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে তার দল। জিতে ফেলেছেন স্প্যানিশ সুপার কাপ। ইংল্যান্ডের হয়ে ইউরো জয়ের সুযোগও আছে তার। মৌসুমে ২৩ গোল করেছেন, ১৩ গোলে সহায়তা দিয়েছেন। যে কারণে ব্যালন ডি’অর র‌্যাঙ্কিংয়ে তাকে শীর্ষে রাখা হয়েছে। দুইয়ে থাকা এমবাপ্পে লিগ জিতেছেন। ইউরোপ সেরার লড়াইয়ে সেমিতে আছে তার দল। ইউরোর ফেবারিটও ফ্রান্স। এমবাপ্পে ৪৯ গোল ও ১৭ গোলে সহায়তা দিয়েছেন। র‌্যাঙ্কিংয়ে দুইয়ে থাকলেও একে ওঠা তার জন্য সময়ের ব্যাপার। মৌসুমে ৪৬ গোল হ্যারি কেইনের। ১৩ গোলে সহায়তা দিয়েছেন। তবে বায়ার্ন লিগ শিরোপা বঞ্চিত হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ইউরোর ওপর নির্ভর করছে তার ব্যালন ডি’অর পাওয়ার সুযোগ। ফোডেন-ভিনিসিয়াস-রার্টজ হতে পারেন ব্রেক থ্রু: ব্যালন ডি’অর র‌্যাঙ্কিং চারে আছেন ইংল্যান্ডের ফিল ফোডেন। তার ক্লাবের প্রিমিয়ার লিগ ও এফএ কাপ জয়ের সম্ভাবনা আছে। ইংল্যান্ডের ইউরোর বড় ভরসাও তিনি। ফোডেন মৌসুমে ২৫ গোল করেছেন ও ১০ গোলে সহায়তা দিয়েছেন। ভিনিসিয়াস ১৯ গোল করে ও ১১ গোলে সহায়তা দিয়ে চারে আছেন। লেভারকুসেনকে লিগ জেতাতে ১৮ গোল করেছেন ও ২১ গোলে সহায়তা দিয়েছেন ফ্লোরিয়ান রার্টজ। জার্মানির নতুন এই সেনসেশন ইউরো জিততে পারলে ব্যালন ডি’অরও কব্জা করে ফেলতে পারেন। হালান্ড-রদ্রিগোর অপেক্ষা: গত মৌসুমে ট্রেবল জিতে ব্যালন ডি’অর জয়ের জোর দাবিদার ছিলেন আর্লিং হালান্ড। এবার ৩৫ গোল করলেও নরওয়ে ইউরোয় জায়গা না পাওয়ায় হালান্ডের জন্য র‌্যাঙ্কিংয়ে ওপরে উঠে আসা কঠিন হবে। তিনি আছেন সাতে। আটে আছেন রদ্রি। নয়ে আছেন ব্রাজিলের রদ্রিগো। তিনি মৌসুমে ১৮ গোল করেছেন ও আট গোলে সহায়তা দিয়েছেন। মৌসুমের বাকি ম্যাচে অসাধারণ কিছু করলে ও কোপা আমেরিকায় দলের প্রকৃত নাম্বার টেন হতে পারলে র‌্যাঙ্কিংয়ে সামনে আসতে পারবেন তিনি। না হলে অপেক্ষায় থাকতে হবে তাদের। সেরা দশে আছেন বুকোয়াকা সাকা। তিনি ২৫ গোল করেছেন। ১৫ গোলে সহায়তা দিয়েছেন। চমক মেসি-ফ্রিমপং: ব্যালন ডি’অর পাওয়ার র‌্যাঙ্কিংয়ে ১১ নম্বরে আছেন অ্যান্তোনিও রুডিগার, ১২ নম্বরে আছেন অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যান। ১৩ নম্বরে জায়গা পেয়েছেন কেভিন ডি ব্রুইনি। চলতি মৌসুমের অনেকটা সময় ইনজুরিতে ছিলেন তিনি। র‌্যাঙ্কিংয়ে ২৯ গোল ও ১৬ সহায়তা দিয়েও কিছুই জিততে না পারার কারণে ১৬ নম্বরে আছেন মোহামেদ সালাহ। জেরেমি ফ্রিমপং আছেন ১৭ নম্বরে। ইন্টার মিলানের আর্জেন্টাইন তারকা লওতারো মার্টিনেজ আছেন ১৮ নম্বরে। লিওনেল মেসি ২২ গোল ও ১০ গোলে সহায়তা দিয়ে আছেন ২০ নম্বরে।