ভারত নাকি কানাডা, কোন পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র?
অনলাইন নিউজ ডেক্স
ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারের হত্যার পর ভারতকে দায়ী করেছে কানাডা। কিন্তু ভারত এ হত্যাকাণ্ডের কথা অস্বীকার করলে ফের ভারতের সম্পৃক্ততার কথা জানান কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এ নিয়ে দুই দেশ পাল্টাপাল্টি কূটনীতিকদের বহিষ্কারও করেছে।
ভারত ও কানাডার মধ্যে এ টানাপোড়নের মধ্যে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন স্পষ্ট জানিয়েছেন, এ ইস্যুতে কানাডাকে ভারতের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছে তার দেশ।
শুক্রবার ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে ব্লিঙ্কেন বলেন, হরদীপ সিং হত্যাকাণ্ডে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো যে অভিযোগ তুলেছেন, তাতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এ ইস্যুতে ভারতের উচিত কানাডাকে সহযোগিতা করা।
গত ১৮ জুন দেশটির ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের রাজধানী ভ্যানকুভারের একটি গুরুদুয়ারার সামনে নিহত হন হরদীপ সিং। ৪৫ বছর বয়সী হরদীপ সিং নিজ্জার ভারতের খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী খালিস্তান টাইগার ফোর্স এবং শিখস ফর জাস্টিস কানাডা শাখার শীর্ষ নেতা ছিলেন।
নিজ্জারের হত্যার জন্য ভারতকে সরাসরি দায়ী করে গত ১৮ সেপ্টেম্বর কানাডার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তার এ বক্তব্যের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে শুরু হয়েছে টানাপোড়েন।
এদিকে দুই দেশের চলমান ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি কার পক্ষ নিবে তা নিয়ে ব্যাপক জল্পনা শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে।
প্রসঙ্গত, ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের জলন্ধর থেকে ১৯৭৭ সালে কানাডায় গিয়েছিলেন হরদীপ সিং নিজ্জার, পরে তিনি ওই দেশের নাগরিকত্ব পান।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।