ভারত-পাকিস্তানের পালটাপালটি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ


ভারত-পাকিস্তানের পালটাপালটি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ
রাত হলেই সীমান্তে গোলাগুলি আর পালটাপালটি ড্রোন ছুঁড়ে নিজেদের শক্তিমত্তার জানান দেওয়া যেন প্রতিদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। পরমাণু শক্তিধর দুই দেশ ভারত এবং পাকিস্তানের সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়িয়ে যাওয়া ছিল শুধু সময়ের ব্যাপার।শনিবার (১০ মে) ট্রুথ সোশ্যালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার যুদ্ধ বন্ধের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর কিছু সময়ের মাঝেই ভারত-পাকিস্তানও যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করে।তবে কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পালটাপালটি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে এই দুই দেশ।নয়াদিল্লির অভিযোগ, চুক্তি ভেঙে বারবার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসলামাবাদ। যার উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে ভারতের সামরিক বাহিনী। নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এমনটা অভিযোগ পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রির।জবাবে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি অমান্যের অভিযোগ পাকিস্তানের। যুদ্ধবিরতি মানতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ইসলামাবাদ, বিবৃতিতে এমনটাই দাবি করে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।তবে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায় ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে।দেশটির পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেন, গত কয়েক ঘণ্টায় বেশ কয়েকবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করা হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী এর যথাযথ জবাব দিচ্ছে। আমরা বিষয়টির ওপর গুরুত্ব সহকারে নজর রাখছি। সেই সঙ্গে পাকিস্তানকেও বিষয়টি সমাধানে দ্রুত এবং দায়িত্বের সঙ্গে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।এর আগে শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের ৪৮ ঘণ্টার জোরাল প্রচেষ্টায় ভারত-পাকিস্তানের মাঝে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে এই তথ্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও নিজেই জানিয়েছেন, ভারত ও পাকিস্তান তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে এবং একটি নিরপেক্ষ স্থানে বিস্তারিত বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে।পোস্টে তিনি আরও বলেছেন, শান্তির পথ বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী মোদি (নরেন্দ্র মোদি) এবং শরিফের (শাহবাজ শরিফ) প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা ও রাষ্ট্রনীতির প্রশংসা করি।তিনি আরও বলেছেন, তিনি ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স গত ৪৮ ঘণ্টা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফসহ ঊর্ধ্বতন ভারতীয় ও পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কাটিয়েছেন।