মধুখালীতে আহত শ্রমিকদের পরিবার অনাহারে খোজ নিচ্ছেন না কেউ
অনলাইন নিউজ ডেক্স
ফরিদপুরের মধুখালীতে ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে ঘটে যাওয়া ঘটনায় নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় দুই ভাই নির্মাণ শ্রমিককে। সেখানে , ভাগ্যক্রমে বেচে যান, নির্মম অত্যাচারের শিকার আরো তিনজন নির্মাণ শ্রমিক। তাদের মধ্যে একজন সিরাজ মিয়া গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের গৌরীপুর গ্রামের বাসিন্দা,সিরাজ মিয়ার পাঁচটি শিশু সন্তান অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। বাবা মা কেউ কাছে না থাকায় দুবেলা খাবার জুটছে না তাদের মুখে। বৃদ্ধ দাদী অন্যের কাছে খাবার চেয়ে কোনরকম জীবন বাঁচাচ্ছেন। প্রশাসন থেকে সহযোগিতা করা হলেও, তা খুবই সীমিত। ব্যক্তি পর্যায় ও সংগঠন থেকে তেমন কোন সহযোগিতায় পাচ্ছে না সিরাজ মিয়ার পরিবার।
অন্যদিকে বেঁচে যাওয়া আরেকজন ব্যক্তি হচ্ছে প্রতিবন্ধী লিটন মোল্লা, তিনি পেশায় একজন নসিমন চালক, সেদিনের সেই কালো রাতে তার একমাত্র উপার্জনের মাধ্যম,নছিমনটি পুড়িয়ে দেয় উগ্রবাদী জনতা।
লিটনের স্ত্রীর বলেন, দুবেলা খাবার জোগাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে তাকে। তাছাড়া কিস্তির টাকা ও বিদ্যুৎ বিল না দেওয়াতে সমস্যায় পড়তে হবে তাকে।
এলাকার মানুষের দাবি,যারা মারা গেছেন তাদের পাশাপাশি এই অসহায় দরিদ্র দুটি পরিবারকে নানাভাবে সহযোগিতা করা হোক। ফলে তাদের পরিবারে থাকা শিশুরা দুবেলা দুমুঠো পেট পুরে খেতে পারবে। অন্য একটি পরিবার হচ্ছে সাব ঠিকাদার উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের আমডাঙ্গা গ্রামের জালাল উদ্দিন।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।