যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার চেষ্টা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছে: কাতার


কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুহম্মদ বিন আবদুর রহমান আল থানি জানিয়েছেন, এ মুহূর্তে শান্তি আলোচনার বিষয়টি \'সংবেদনশীল পর্যায়\' রয়েছে। যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার চেষ্টা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি, ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তির চেষ্টার ক্ষেত্রে মিশর এবং যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি কাতারেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। যারা রাজনৈতিক মুনাফা কামানোর চেষ্টা করছে তাদের শোষণ, নির্যাতন এবং অবমূল্যায়নের শিকার হয়েছে দোহা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালনের বিষয়টি পুনর্মূল্যায়ন করে দেখছে কাতার। হামাসসহ বাকি পক্ষের সঙ্গে কাতারের যে সম্পর্ক রয়েছে তা যুদ্ধবিরতি এবং শান্তি আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লাভের দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এর আগে মধ্যস্থতাকারীরা ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল। ওই সময়ে হামাসকে ৪০ জন নারী, শিশু এবং বয়স্ক বা অসুস্থ জিম্মিদের মুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল যা তারা সপ্তাহান্তে প্রকাশ্যে প্রত্যাখ্যান করে। কাতার এখন খোলাখুলিভাবে শান্তি আলোচনা সফল হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে এবং মধ্যস্থতাকারী হিসাবে তার ভূমিকাও পুনর্বিবেচনা করছে। বুধবার দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা দেখেছি সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য এই মধ্যস্থতাকে অপব্যবহার করা হয়েছে। এর অর্থ হলো কাতার এই (মধ্যস্থতাকারী) ভূমিকার ব্যাপক মূল্যায়নের আহ্বান জানিয়েছে। আমরা এমন একটা পর্যায়ে রয়েছি যেখানে মধ্যস্থতার বিষয়টিকে মূল্যায়ন করে দেখছি এবং সেখানে (মধ্যস্থতায়) দলগুলো কিভাবে কী করবে তাও পর্যালোচনা করে দেখছি। তিনি কোনো ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ না করলেও মার্কিন কংগ্রেসের ভেতরে কিছু সমালোচক কাতারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। তাদের দাবি, হামাসের ওপর যথেষ্ট চাপ সৃষ্টি করছে না কাতার। যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত সাম্প্রতিক প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হামাসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেছে ‘যুদ্ধবিরতির ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তারা (হামাস)।’ ইসরাইলের সঙ্গে ইরানের সংঘাতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাজায় চলমান ভয়াবহ যুদ্ধ বৃহত্তর আঞ্চলিক সংঘর্ষের রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে কাতার। এই সংঘাত বৃদ্ধির বিষয়ে সতর্ক করার পাশাপাশি বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তাদের দায়িত্ব গ্রহণ এবং যুদ্ধ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী। এদিকে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, লেবাননের ভূখণ্ড থেকে উত্তর ইসরাইলের একটি গ্রামের দিকে আসা ‘অ্যান্টি ট্যাংক’ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের আঘাতে তাদের ১৪ জন সেনা আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ছয়জনের আঘাত গুরুতর। ইরান সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হেজবুল্লাহ জানিয়েছে আরব আল-আরামশে এলাকায় একটি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে গুলি চালানো হয়েছিল। তার কারণ যে প্রতিশোধ, সে কথা জানিয়েছে তারা। সাম্প্রতিককালে ইসরাইলি হামলায় হেজবুল্লাহ কমান্ডার ও অন্যান্য যোদ্ধারা আহত হয়। তার প্রতিশোধ নিতেই পাল্টা আক্রমণ চালিয়েছিল ওই গোষ্ঠী। হামাসের মতোই ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অন্যান্য দেশে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ হওয়া হেজবুল্লাহ গোষ্ঠী গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই সীমান্তে ইসরাইলি বাহিনীর সঙ্গে গুলি বিনিময় করে আসছে। হামাস বন্দুকধারীরা ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে একটি নজিরবিহীন হামলা চালায়। ওই ঘটনায় ১,২০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল (যাদের মধ্যে ছিলেন মূলত বেসামরিক নাগরিক) এবং ২৫৩ জনকে জিম্মি করা হয়। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সংঘর্ষের সূত্রপাত। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের (হামাসকে) ধ্বংস করতে এবং জিম্মিদের মুক্তির উদ্দেশ্যে চালানো ইসরাইলের সামরিক অভিযানে গাজায় ৩৩ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এদিকে নভেম্বরে এক সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতির সময় ২৪০ ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তির বদলে ১০৫ জন জিম্মিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন নারী ও শিশু। ইসরাইলি কর্মকর্তাদের মতে গাজায় ১৩৩ জন জিম্মিকে আটক করে রাখা হয়েছে, যাদের মধ্যে চারজনকে যুদ্ধের আগেই বন্দি করা হয়েছিল। তবে জিম্মিদের মধ্যে ৩০ জনের ইতোমধ্যে মৃত্যু হয়েছে। হামাস এক বিবৃতিতে শনিবার জানিয়েছে, তারা ইসরাইলের সঙ্গে জিম্মি বিনিময় চুক্তির বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে। তবে সর্বশেষ যে প্রস্তাব তাদের দেওয়া হয়েছে সেটি তারা মানতে পারবে না। গাজা থেকে ইসরাইলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের তাদের বাসস্থানে ফিরিয়ে আনার জন্য স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবিতে তারা অনড় রয়েছে বলেও জানিয়েছে হামাস। ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের পরিচালক ইসরাইলি আলোচনাকারী দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার অভিযোগ হামাসের অবস্থান এটা নিশ্চিত করে যে তাদের (হামাসের) নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার গাজায় মানবিক চুক্তি এবং জিম্মিদের প্রত্যাবর্তন চান না। ইরানের সঙ্গে উত্তেজনার যে আবহাওয়া সৃষ্টি হয়েছে তা বজায় রেখে লাভবান হতে চান তিনি। ওই অঞ্চলে সামগ্রিকভাবে সংঘাতও বাড়াতে চান তিনি। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার সোমবার বলেন, মূল কথা হচ্ছে হামাসকে এই চুক্তি মানতে হবে এবং বিশ্বকে ও ফিলিস্তিনি জনগণের কাছে তাদের ব্যাখ্যা করতে হবে তারা কেন এ প্রস্তাব গ্রহণ করছে না। গত সপ্তাহে ইসরাইলের এক সিনিয়র কর্মকর্তা মার্কিন গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, হামাস মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে তাদের কাছে ৪০ জন জীবিত জিম্মি নেই। প্রসঙ্গত: সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে যে মানদণ্ড পূরণ করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে তাতে শিশু, নারী, সৈন্যসহ ৫০ বছরের বেশি বয়সি পুরুষ এবং যাদের অবস্থা গুরুতর তাদের মুক্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। হামাসের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অবশ্য বলেছেন, সব জিম্মিকে খুঁজে বের করতে ‘পর্যাপ্ত সময় ও নিরাপত্তা’ দেওয়ার জন্য যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন। এদিকে শেখ মুহম্মদ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ‘তাদের দায়িত্ব গ্রহণ করার এবং এই যুদ্ধ বন্ধের’ আহ্বান জানিয়ে সতর্ক করেন যে গাজার বেসামরিক নাগরিকরা ‘অবরোধ ও অনাহারের’ সম্মুখীন হয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছিলেন ত্রাণকে ‘রাজনৈতিকভাবে ব্ল্যাকমেইলের উপায়’ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। জাতিসংঘ সমর্থিত এক মূল্যায়নে জানানো হয়েছে, ১১ লাখ মানুষ অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার অর্ধেক মানুষ মারাত্মক ক্ষুধার সঙ্গে লড়ছেন এবং গাজার উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষ আসন্ন। এজন্য ত্রাণ সরবরাহে ইসরাইলি বিধিনিষেধ, দুপক্ষের মধ্যে শত্রুতা এবং শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার বিষয়কে দায়ী করেছে জাতিসংঘ। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের তরফে বুধবার জানানো হয়েছে তিনি ‘গাজায় দুর্ভিক্ষের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন’। উল্টো প্রধানমন্ত্রীর দাবি মানবিকতার নজির গড়েছে ইসরাইল। সামরিকবাহিনী আরও জানিয়েছে, এই প্রথমবার আশদোদ কন্টেনার বন্দর থেকে ত্রাণসামগ্রী হিসেবে খাদ্যদ্রব্য প্রবেশ করেছে গাজায়। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির আওতায় বুধবার আটটি লরি ইসরাইল-নিয়ন্ত্রিত কেরেম শালোম ক্রসিং দিয়ে আটা পরিবহণ করছে। পহেলা এপ্রিল গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন ত্রাণকর্মীদের মৃত্যুর পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দাবি মেনে গত সপ্তাহে উত্তর গাজার সঙ্গে একটি নতুন ক্রসিংও খোলা হয়েছিল। বুধবার একটি টুইটে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে আমার ফোনালাপের পর ১২ দিনে খাদ্য ও রসদ নিয়ে তিন হাজার ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে। সংখ্যাটা আগের সপ্তাহের তুলনায় দিনপ্রতি ৫০ শতাংশ বেশি। গাজার সবচেয়ে বড় মানবিক সহায়তা সংস্থা ‘ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস ফর প্যালেস্তাইন রিফিউজিস’ (ইউএনআরডব্লিউএ) মঙ্গলবার তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গাজায় মানবিক ত্রাণ সরবরাহের পরিমাণের কোনোরকম উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি। উত্তরাঞ্চলে প্রবেশাধিকারের বিষয়েও কোনো উন্নতি লক্ষ্য করা যায়নি বলেও সেখানে অভিযোগ করা হয়েছে। ইউএনআরডব্লিউএ প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৫ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিলের মধ্যে কেরেম শালোম ও মিসর নিয়ন্ত্রিত রাফাহ ক্রসিং দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ১৮৫টি লরি গাজায় প্রবেশ করেছে। তথ্য অনুযায়ী, ২৯ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাত দিনে এর দৈনিক গড় ছিল ১৬৮। জাতিসংঘের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মঙ্গলবার সতর্ক করে জানিয়েছেন দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে তারা এখনো হিমশিম খাচ্ছেন। যদিও ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য ইসরাইলের সঙ্গে যে সমন্বয় প্রয়োজন তাতে কিছুটা উন্নতি ঘটেছে। আন্দ্রেয়া ডি ডোমেনিকো বলেছেন, বিষয়টি কিন্তু ময়দা আনা বা কয়েকটা রুটি তৈরি করার চেয়ে অনেক বড়। এটা সত্যিই জটিল একটা বিষয়। দুর্ভিক্ষ ঠেকানোর জন্য জল, পয়ঃনিষ্কাশন ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অপরিহার্য। গাজায় ত্রাণ সরবরাহের সমন্বয়কারী ইসরাইলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংস্থা কোগাট জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি অংশের কেরেম শালোমে ৭০০টি ত্রাণসামগ্রীবোঝাই লরি সংগ্রহের অপেক্ষায় রয়েছে। আমরা আমাদের সক্ষমতা বাড়িয়েছি। জাতিসংঘ শুধু অজুহাতই বানিয়েছে। গাজায় বুধবার একটি ভিন্ন ঘটনায় ইসরাইলের সেনা এবং বিমানবাহিনী ওই অঞ্চলের কেন্দ্রস্থলে ‘বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসীকে নির্মূল করেছে এবং সন্ত্রাসী অবকাঠামো ধ্বংস করেছে’ বলে দাবি করেছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী। ফিলিস্তিনি গণমাধ্যম জানিয়েছে, নুসেইরাত শরণার্থী শিবির এবং তার আশপাশে তীব্র বোমা হামলা ও লড়াই চলেছে। বিমান হামলায় বাড়িতে থাকা অবস্থায় আল-নুরি পরিবারের ১১ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত বেইত হানুন শহরের একটি স্কুলে লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাসীদের ধরতে অভিযান চালিয়েছে তারা। হামাস ও ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ গোষ্ঠীর বেশ কয়েকজন সদস্যকে আটক করা হয়েছে। যারা বাধা দিয়েছিল তাদের মৃত্যু হয়েছে বলেও সামরিক বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার বেইত হানুনে একটি বাড়িতে আক্রমণের ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। জাবালিয়ার এক বাসিন্দা বিবিসি আরবির গাজা লাইফলাইন রেডিও সার্ভিসকে বলেছেন- দখলদার (ইসরাইলি) বাহিনীর আগ্রাসনে ভরা এ অভিযান দেখে আমরা হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। তারা পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে যুবক, পুরুষ, নারী ও শিশুদের গ্রেফতার করেছিল। ইসরাইলের বাহিনী আমাদের ওই এলাকা থেকে সরিয়ে নেয়, বেইত হানুনে লোকজনকে হত্যা করে, আশ্রয় কেন্দ্রে প্রবেশ করে ভেতরে থাকা লোকজনকে গ্রেফতার করে। তিনি বলেন, এভাবেই আমাদের জীবন অসহনীয় হয়ে উঠেছে। আমরা যখনই যেখানে যাই না কেন, ট্যাঙ্কগুলো সবসময় আমাদের নিশানা করে শেল ছোড়ে। সূত্র: বিবিসি নিউজ