রাজশাহীতে দুষণ ও দখলমুক্ত করে নদ-নদী রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন
অনলাইন নিউজ ডেক্স
রাজশাহীর পদ্মা নদীতে ক্যাপিটাল ডেজিং করে নদী রক্ষা ও নৌবন্দর চালুর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপা’র রাজশাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ। আন্তজর্তিক নদী কৃত্য দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার রাজশাহী নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
‘পদ্মা নদী বাঁচলে, রাজশাহী বাঁচবে/ যদি নদী হয় শেষ, তবে মরুভূমি হবে বাংলাদেশ’ এ স্লোগানে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে বক্তারা বলেন, রাজশাহীতে গত কয়েক বছরের ব্যবধানে পদ্মা নদীতে ১৮ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে নদীর প্রবাহ ধ্বংস করা হয়েছে। নদী দখল করে অসংখ্য অবৈধ স্থাপনাও গড়ে উঠেছে। এ কারনে পদ্মা নদী তার নিজস্ব অস্তিত্ব হারিয়েছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন রাজশাহী শাখার সভাপতি জামাত খান বলেন, পদ্মা নদীর অস্তিত্ব সংকটের কারনে এখন মরে গেছে এ অঞ্চলের অসংখ্য খাল-বিল, পুকুর-জলাশয়। এসব খাল-বিল দখল করে প্রভাবশালীরা রাতারাতি স্থাপনা তৈরি করে ক্রমের নদী ও খালবিলের অস্তিত্ব ধ্বংস করছে। অবিলম্বে নদী রক্ষাসহ এ অঞ্চলের খাল-বিল জলাশয় রক্ষা করতে হবে। একই সঙ্গে ভ-ূউপরিস্থ পানির ব্যবহার নিশ্চিতে অবিলম্বে প্রস্তাবিত উত্তর রাজশাহী সেচ প্রকল্প বাস্তবায়নেরও দাবি জানান তিনি।
জামাত খান আরও বলেন, শুধু রাজশাহীর পদ্মা নয়, প্রভাবশালীদের লোভের থাবায় এখন নিষ্পেশিত উত্তরাঞ্চলের অসংখ্য নদ-নদী ও খাল বিল। পদ্মাসহ এসব খাল-বিল সংস্কার করে অবিলম্বে স্বাভাবিক পানি প্রবাহ নিশ্চিতের দাবি জানান তিনি। একই সঙ্গে পদ্মা নদী ক্যাপিটাল ডেজিং করে নৌবন্দর চালুর দাবি জানান জামাত খান।
জামাত খানের সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মর্সূচিতে বক্তব্য রাখেন বাপার রাজশাহী শাখার উপদেষ্টা লিয়াকত আলী, সিনিয়র সাংবাদিক আকবারুল হাসান মিল্লাত, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আবদুল মান্নান, বাপার রাজশাহী জেলা কমিটির সহসভাপতি দেবাশিষ প্রামানিক দেবু, মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ড. হেমায়েতুল ইসলাম আরিফ, এনামুল হক, নারী নেত্রী সেলিনা খাতুন, রাজশাহী ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি সফিকুর রহমান রিপন, আসক ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আইয়ূব আলী প্রমূখ।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।