রাজশাহীতে ৩ ইউপি চেয়ারম্যান ও ২ ছাত্রলীগ নেতাসহ ৫ জন কারাগারে
অনলাইন নিউজ ডেক্স
রাজশাহীর দুর্গাপুর থানায় দায়ের করা সন্ত্রাস ও নাশকতার মামলায় তিন ইউপি চেয়ারম্যান ও দুই ছাত্রলীগ নেতাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন জানালে আদালত জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আত্মসমর্পণ করা তিন ইউপি চেয়ারম্যান হলেন, দুর্গাপুরের ২ নং কিসমত গণকৈড় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, ৫ নং ঝালুকা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আকতার আলী ও ৭ নং জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান। এছাড়াও আত্মসমর্পণ করা অপর দুই ছাত্রলীগ নেতারা হলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলমগীর হোসেন ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান রিপন।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজশাহীর আমলী আদালত-৩ এর বিজ্ঞ বিচারক মল্লিকা চক্রবর্তীর আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন জানালে বিজ্ঞ আদালত শুনানি শেষে জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আসামী পক্ষের আইনজীবী এড. শরিফুল ইসলাম জানান, ২৯ ডিসেম্বর এই মামলায় আদালতের ধ্যার্য দিন ছিলো। আত্মসমর্পণ করা ৫ জনই এজাহার নামীয় আসামী ছিলেন। এই মামলায় সম্ভবত ১৩২ জন আসামী জামিনে আছেন। এছাড়াও আগে থেকেই দুইজন কারাগারে আছেন। নতুন করে আরও ৫ আসামী আত্মসমর্পণ করায় এই মামলায় ৭ জন আসামী কারা হেফাজতে রয়েছেন।
যেহেতু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে সেহেতু পুণরায় আসামীদের জামিন আবেদন জানানো হবে বলেও জানান এড. শরিফুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগের দিন অর্থাৎ গত ৪ আগস্ট উপজেলা সদরের মেডিকেল মোড়ে ১৫০ থেকে ২০০ জন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রসহ প্রকাশ্যে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সহযোগিতাকারীদের হত্যার উদ্দেশ্যে ব্যাপক নাশকতা চালায়। এ ঘটনায় উপজেলার চক জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের শাহাদত হোসেন বাদী হয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর দুর্গাপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।