রেলওয়ের পাঁচটি প্রকল্পের মধ্যে তিনটিতে অর্থায়ন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিলো ভারত


রেলওয়ের পাঁচটি প্রকল্পের মধ্যে তিনটিতে অর্থায়ন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিলো ভারত
ভারত বাংলাদেশ রেলওয়ের পাঁচটি প্রকল্পের মধ্যে তিনটিতে অর্থায়ন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সম্প্রতি ঢাকায় ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সাথে রেলওয়ের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এর মধ্যে দুটি প্রকল্প ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে, এবং তৃতীয় প্রকল্পে বিকল্প অর্থায়নের চেষ্টা চলছে বলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফাহিমুল ইসলাম জানিয়েছেন।১. রংপুর-কাউনিয়া থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুর পর্যন্ত রেলপথ প্রকল্প: ২০১৮ সালে ভারতের অর্থায়নে এই প্রকল্পটি শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সাত বছর পেরিয়ে গেলেও প্রকল্পের কাজ শুরু হয়নি। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের নতুন সমীকরণ সৃষ্টি হয়, এবং তখন থেকে ভারতের অর্থায়নে রেলওয়ের প্রকল্পগুলোর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। সবশেষ বৈঠকে ভারত কাউনিয়া-পার্বতীপুর প্রকল্পে অর্থায়ন না করার সিদ্ধান্ত জানায়, ফলে রেলওয়ে প্রকল্পটি বাতিল করা হয়েছে। ২. খুলনা-দর্শনা ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্প: এই প্রকল্পেও ভারত অর্থায়ন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ফলে রেলওয়ে প্রকল্পটি আপাতত বাতিল করা হয়েছে।৩. বগুড়া-সিরাজগঞ্জ ডুয়েল গেজ নির্মাণ প্রকল্প: এ প্রকল্পে ভারত অর্থায়ন না দিলেও রেলওয়ে বিকল্প অর্থায়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। রেলপথ সচিব ফাহিমুল ইসলাম জানিয়েছেন, বগুড়া-সিরাজগঞ্জ প্রকল্পটি তাদের জন্য সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রকল্প, এবং তারা দ্রুত এর জন্য বিকল্প অর্থায়নের ব্যবস্থা করতে চেষ্টা করছেন।ভারত চলমান আরও দুটি প্রকল্পে অর্থায়ন অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে:১. ঢাকা-টঙ্গি-জয়দেবপুর ডুয়েল গেজ লাইন নির্মাণ প্রকল্প: এই প্রকল্পটির কাজ ২০২৭ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।২. কুলাউড়া-শাহবাজপুর সেকশন পুনর্বাসন প্রকল্প: ২০১১ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের ৫৩% কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে, এবং ভারত এতে অর্থায়ন চালিয়ে যাবে। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ভারত ছাড়াও আঞ্চলিক কয়েকটি দেশের সাথে অর্থায়নের বিষয়ে আলোচনা চলছে। ঢাকা-টঙ্গি-জয়দেবপুর এবং কুলাউড়া-শাহবাজপুর প্রকল্পের কাজ যথাক্রমে ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে, এবং এগুলো সম্পন্ন করতে ভারতের অর্থায়ন অব্যাহত থাকবে। তবে বাতিল হওয়া প্রকল্পগুলোর জন্য বিকল্প অর্থায়নের চেষ্টা চলছে বলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।