শান্তি ও সাফল্যের জন্য যে দোয়া পড়বেন


শান্তি ও সাফল্যের জন্য যে দোয়া পড়বেন

দুনিয়াতে সবাই সুখী হতে চায়। শান্তি পেতে চায়। মানুষ যত কষ্ট আর পরিশ্রম করে সেটার উদ্দেশ্য একটাই, তা হলো একটু সুখ-শান্তিতে থাকা। এর চেয়ে বেশি কিছু না। শান্তির জন্য কেউ দৌড়াচ্ছে অর্থের পেছনে। কেউ গাড়ি-বাড়ির পেছনে। কেউ বা পদের লোভে বিভোর। সবাই আপন-আপন গতিতে ছুটে চলছে শান্তির খোঁজে।

মানুষ সাধারণত ধন-সম্পদ, বিত্ত-বৈভবকে সফলতার মাপকাঠি মনে করে। তাই কারো ঐশ্বর্যের মহড়া দেখলে মানুষ তাদেরই সফল ভাবে। কেউ কেউ হীনম্মন্যতা থেকে নিজেকে আল্লাহর অপ্রিয়ও ভাবতে শুরু করে। তারা ভাবতে থাকে, আল্লাহ মনে হয় সম্পদশালীদেরই বেশি ভালোবাসেন।

অথচ পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, ঈমান ও নেক আমল ছাড়া শুধুমাত্র ধন-সম্পদ প্রকৃত সফলতা নয়।

পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি এমন বস্তু নয়, যা তোমাদের আমার নিকটবর্তী করে দেবে। তবে যারা ঈমান আনে ও নেক আমল করে, তারাই তাদের আমলের বিনিময়ে পাবে বহুগুণ প্রতিদান। আর তারা (জান্নাতের) সুউচ্চ প্রাসাদে নিরাপদে থাকবে। (সুরা: সাবা, আয়াত : ৩৭)

অর্থাৎ, ঈমান ও নেক আমলহীন ধন-সম্পদ আল্লাহর ভালোবাসা ও নৈকট্যের প্রমাণ নয়। বরং যাদের ঈমান আছে, যারা নেক আমল করে মহান আল্লাহ তাদেরই ভালোবাসেন।

কেউ যদি তার ধন-সম্পদকে আল্লাহর নির্দেশিত পদ্ধতিতে আয় করে এবং তা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে ব্যয় করে, তাহলে তার সেই সম্পদকে মহান আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের সোপান বলা যায়। অন্যথায় সম্পদ মানুষের জন্য ফিতনাস্বরূপ।

দুনিয়ার কোনো উপকরণের ক্ষমতা নেই সুখ-শান্তি পৌঁছানোর, যদি মহান আল্লাহ না চান। সুতরাং সুখ-শান্তির মালিক একমাত্র আল্লাহ। তার কাছেই চাইতে হবে। আল্লাহতায়ালা পৃথিবীতে মানুষের সুখ-শান্তির জন্য অনেক উপকরণ দান করেছেন। এসব উপকরণ সঠিকভাবে ব্যবহারের পাশাপাশি কিছু দোয়াও শিখিয়েছেন।

এ ক্ষেত্রে পবিত্র কুরআনের একটি আয়াত পরীক্ষিত। সেটি হলো-

رَبِّ هَـبْ لِـىْ حُـكْـمًـا وَّاَلْحِـقْـنِـىْ بِـالـصّٰـلِـحِـيْـنَ وَاجْـعَـلْ لِّـىْ لِـسَـانَ صِـدْقٍ فِـى الاٰخِـرِيْـنَ وَاجْـعَـلْـنِـىْ مِـنْ وَّرَثَـةِ جَـنَّـةِ الـنّـعِـيْـمِ

উচ্চারণ: রাব্বি হাবিলি হুক্‌মাও ওয়া আল হিক্বনি বিস্‌সালিহিন। ওয়াজা’আল্লি লিসা না সিদিকিন ফিল্ আখিরীন। ওয়াজ’আলনী মিওঁ ওয়ারাছাতি জান্নাতিন্ না’ঈম।

অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক! আমাকে জ্ঞান দান কর, এবং সৎকর্মপরায়ণদের শামিল কর। আমাকে পরবর্তীদের মধ্যে যশস্বী কর এবং আমাকে সুখময় জান্নাতের অধিকারীদের অন্তর্ভুক্ত কর।