চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃতি সন্তান ফাইজুর কবির একজন সফল কৃষি উদ্যোক্তা, তবে তার আজকের এই সফলতার চূড়ায় অবস্থান করা এতটা সহজ ছিলো না। এর পেছনে রয়েছে অনেক ত্যাগ, ধৈর্যের পরীক্ষা, অক্লান্ত পরিশ্রম করে মাটির সাথে মিশে থাকা দিন এর পর দিন পার করে,, হার না মানা গল্পের কথা। ২০১১ সালে শুরু হয় গল্পের মত বাস্তবে কঠিন যাত্রা। আজ থেকে প্রায় এক যুগ আগের তথ্যপ্রযুক্তির বর্তমান সময়ের মতো সহজলোভ্য ছিলো না। তবে মনোবল ছিলো অধিক, যার কারণে নিজের ক্যারিয়ার ও বড় সাফল্যের চুড়াই পৌঁছেছেন ফাইজুর কবির । যখন তিনি দেখলেন এই পেশায় সম্ভাবনার বৃহত্তর দুয়ার রয়েছে তখন তিনি চিন্তা করলেন আমার সোনার বাংলাদেশ, যে দেশের মাটি কৃষির জন্য যুগোপযোগী একটি জায়গা । তাই তিনি কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে কৃষি নিয়ে কাজ শুরু করেন ।যেখানে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসাবে কাজ করলে অনেক চড়াই উতরায় পার হয়ে উদ্যোক্তা হতে হয়। সেই চিন্তা ভাবনাকে পেছনে ফেলে কৃষি সমৃদ্ধ দেশে কৃষি নিয়ে কাজ শুরু করেন ফাইজুর কবির। একদিকে দেশের কৃষি ও অর্থনীতিতে বৈদেশিক মুদ্রা যুক্ত করছেন অন্যদিকে এ পেশায় যুক্ত হতে বেকারদের উদ্বুদ্ধ করেছেন। নিজের প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি বিভিন্ন প্রোজেক্টেও প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেন। দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখার জন্য তিনি দেশের বিভিন্ন ছোট-বড় প্রতিষ্ঠান থেকে পুরষ্কার পেয়েছেন। পুরষ্কারের ঝুড়িতে এবার যুক্ত হয়েছে বিদেশের সন্মাননা। গত ২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি তরুন যুবকদের নিয়ে কাজ করার জন্য এশিয়ার মধ্যে সেরাদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় নেপালের রাজধানী কাঠমন্ডুতে। ‘সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ এক্সসেন্স’ শীর্ষক আয়োজিত বাংলাদেশের সেরা কৃষি উদ্যোক্তা ফাইজুর রহমান পেয়েছেন সেরাদের পুরস্কার। দেশটির ডেপুটি স্পিকার এদিন তার হাতে পুরষ্কার তুলে দেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরষ্কার প্রাপ্তির বিষয় নিয়ে কথা হয় কৃষি উদ্যোক্তা ফাইজুর কবিরের সঙ্গে। তিনি বলেন, পুরষ্কার প্রাপ্তি কাজের প্রতি আরও দায়িত্ব বাড়িয়ে দেয়। কাজের গতিকে আরও গতিশীল করে। আশা করছি সামনের দিনগুলো আরও দায়িত্বের সাথে বেকারদের নিয়ে কাজ করে যাবো। কৃষি উদ্যোক্তা ফাইজুর কবির বলেন, এ পেশায় অনেকে আসতে চান তবে ধৈর্যের ও পরিশ্রমের পরীক্ষা কেউ দিতে চান না। এ পেশায় কাজ করতে হলে প্রথমত মাটি সার ও কীটনাশক প্রয়োগের বিষয়ে জ্ঞান লাভ করতে হবে। তবেই সে সফল হতে পারবে। যেহেতু বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ এবং কৃষি উপযোগী বাংলাদেশের মাটি। তাই আমি কৃষি কাজে আগ্রহীদের এ পেশায় আসার আহ্বান জানাচ্ছি। যারা আমার কাজে উৎসাহ দিয়ে আসছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।