সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে ১ মহিলা ডাঃ ২নার্স দিয়ে চলছে সরকারি হাসপাতাল


কি আর পেলাম স্বাধীন করে এই স্বাধীনের সাদ সব জায়গাতে রাখা হয়েছে মানুষ মারার ফাদ,ডাক্তারা আজ প্রাইভেটে ব্যাস্ত রুগীর সর্বনাশ। বলছিলাম ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কথা, যোদ্ধা আহত মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী ও যোদ্ধা আহত মুক্তিযুদ্ধা আজমল হোসেন ডাক্তার দেখাতে ফেঞ্চুগঞ্জ হাসপাতালে গেলে কোনো ডাক্তার নাই হসপিটালে, কে দেবে অসুস্থ মুক্তিযুদ্ধাদের চিকিৎসা,ঘন্টার পর ঘন্টা বসলেও মিলছে না ডাক্তারের আবকাশ।হসপিটাল ঘুরে দেখতে পাওয়া যায় নাই ডাক্তার ও নার্সের, দুএক জন পাওয়া গেলেও রুগীর দার কাছে কারো দেখা মিলে নাই নিজেকে টেলিফোনে ব্যাস্ত রেখেছেন এমন অভিযোগ হাসপাতালের রুগীদের কাছে পাওয়া গেছে। ১৬ জুলাই ১১ থেকে ২টা ৪০ মিনিট, ১৭ জুলাই ১২টা থেকে ২টা আজ ১৮ জুলাই পর্যন্ত যোদ্ধা আহত ২ জন চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন হাসপাতালে, ডাক্তারের সাথে দেখা করতে পারেননাই তারা, এর আগেও বহু বার চিকিৎসা জন্য হাসপাতালে গেলে একই অবস্থায় পড়েছেন মুক্তিযুদ্ধা আজমল হোসেন। একটি ভিডিও বার্তায় অভিযোগ করেন ৫/৭ টা ঔষধ ডাক্তাররা লিখলেও ২/৩ টা ঔষধ পাওয়া যায়,বাকি গুলা বাহির থেকে কিনতে হয়েছে, যদিও সরকার পর্যাক্ত পরিমান ঔষধ মেডিকেলে দিচ্ছে আমরা জানি কেন আমার পাইনা এই ঔষধ যায় কোথায়। মোহাম্মদ আলী বলেন আমি রক্ত পরিক্ষা,ডায়াবেটিস পরিক্ষা, হার্ড পরিক্ষা, এক্স-২বার করিয়েছি বাহির থেকে তাহলে হাসপাতালে আমরা কোন শেভাটা পাচ্ছি এমন প্রশ্নে খেপে উটলেন যোদ্ধা আহত মুক্তিযুদ্ধারা, ফেঞ্চুগঞ্জ হাস্পাতালের টিএইচও ডাক্তার রাশেদুল হক চেম্বারে নাই প্রাইভেট হসপিটালের রুগী নিয়ে ব্যাস্ত থাকেন সারা দিন অন্য ডাক্তাররাও প্রাইভেট রুগী দেখছেন, নার্স দিয়ে চলছে ডাক্তারের কাজ, একজন মহিলা ডাক্তার পাওয়া গেলো হাসপাতালে,মুক্তিযোদ্ধা আজমল হোসেন বলেন আমি চিকিৎসা জন্য হাসপাতালে এসেছি কয়েক দিন চিকিৎসা পাওয়া তো ধুরের কতা ডাক্তারও পাই নাই, আমরা যাদের জন্য দেশ স্বাধীন করেছি আজ তারাই আমাদের মেরে ফেলছে, যোদ্ধা আহতরা আজ বোজা হয়ে গেলাম নামে হচ্ছে, আমাদেরকে কি দেখার কেউ নাই। মোহাম্মদ আলী ৪ নাম্বার সেক্টরের আন্ডারে যোদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন, দুইজন যোদ্ধা আহত মুক্তিযুদ্ধা বাড়ী ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মুমিন পুর গ্রামে। টিএইচও ডাক্তার রাশেদুল হক কে ফোন দেয়া হলে প্রাইভেট চেম্বারে যাওয়ার কথা বলেন, ওখানে ভালো ভাবে রুগী দেখতে পারেন বলে আসস্ত করেন,চিকিৎসা ভালো হবে চলে আসেন।মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী বলেন আমি যেই হাত দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে পা ধরে সালাম করেছি আজ সেই হাত চিকিৎসার জন্য অচল হয়ে পড়েছে, আমি হাঠতে পারছি না বয়স বেড়েছে তাই বলে কি সরকারি মেডিকেলে চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার আমাদের নাই,আজমল হোসেন দুই পা দিয়ে হাঁটাচলা করতে পারছে না আমাদের চিকিৎসা দরকার ফেঞ্চুগঞ্জ সরকারি মেডিকেল এসে ডাক্তার পেলাম না আমরা যাবো কোথায় আমাদের কি দেখার কেউ নাই, এমন অভিযোগ লেগেই চলছে ফেঞ্চুগঞ্জ ুউপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, তবে মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস এমপি মৃত্যুর পর থেকে বেহাল অবস্থা পড়েছে সরকারি হাসপাতাল, কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে আজকের এই অবস্থা বলে দাবি করছেন যোদ্ধা আহতরা।