স্মার্ট দেশ গড়তে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের বিকল্প নেই: প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী


স্মার্ট দেশ গড়তে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের বিকল্প নেই: প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার করার প্রধান হাতিয়ার হবে ডিজিটাল সংযোগ। স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজের জন্যে ডিজিটাল সংযোগ মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য পূরণে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই।শুক্রবার গোয়াইনঘাট উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার মাঠে আয়োজিত প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।মন্ত্রী বলেন, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে লাভজনক ভাবে মাংস উৎপাদনকে লক্ষ্য রেখে গরু মোটাতাজাকরণ প্যাকেজ প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়েছে। এর ফলে নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যপূর্ণ গরু নির্বাচন, কৃমি মুক্তকরণ, পুষ্টি ও খাদ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মাত্র ৪ থেকে ৬ মাসের মধ্যে অধিক মাংসবিশিষ্ট গরু বাজারজাত করে খামারিরা অধিক লাভবান হচ্ছেন। ক্ষুদ্র খামারি পর্যায়ে বাণিজ্যিক লেয়ার ও ব্রয়লার মুরগি পালন করে পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা পূরণসহ অর্থনৈতিকভাবেও লাভবান হচ্ছে।তিনি বলেন, বাংলাদেশে সাধারণত উন্মুক্ত অবস্থায় ছাগল পালন করা হয়ে থাকে এবং ছাগলের জন্য বিশেষ কোনো ঘর তৈরি করা হয় না। এর ফলে ছাগল প্রায়ই নিউমোনিয়া ও বিভিন্ন প্যারাসাইটিক রোগে আক্রান্ত হয়, ফলে উৎপাদন মারাত্মক হারে ব্যাহত হয়। এসব সমস্যা রোধে এবং উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিজ্ঞানভিত্তিক বাসস্থান ও সম্পূর্ণ আবদ্ধ অবস্থায় স্টলফিডিং প্রযুক্তির সম্প্রসারণে অধিদপ্তর কাজ করে যাচ্ছে।\'স্মার্ট লাইভস্টক, স্মার্ট বাংলাদেশ\' এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় দিনব্যাপী আয়োজিত প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিলুর রহমান।।উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. জামাল খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।প্রদর্শনীতে ৫০ জন খামারির গরু, ছাগল, ভেড়া, হাঁস, মুরগি, কবুতরসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি প্রদর্শন করা হয়। খামারিদের উদ্বুদ্ধ করা ও বেকার যুবকদের খামার তৈরির জন্য উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে। প্রদর্শনীতে অংশ নেয়া খামারিদের চারটি ভাগে ভাগ করে পুরস্কার দেওয়া হয়।