হরিণাকুণ্ডূতে জমি নিয়ে তুলকালাম


জায়গাজমি নিয়ে ঝুটঝামেলা উপজেলাতে প্রতিনিয়তই লেগেই আছে। নানা জটিলতায় মামলা-মোকোদ্দামা, অভিযোগ যেন পিছুই ছাড়ছে না। সে কারণে নিজের জমি নিয়ে ভোগান্তির শিকার হতে হয় অনেক কৃষকেরই। বলছি ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ৪ নং দৌলতপুর ইউনিয়নের ভেড়াখালী গ্রামের কথা। ২০১৫ সালে বিক্রয় করেছেন ৬২৫৪ নম্বার দাগে ২৬ শতাংশ কিন্তু দলিলে আছে ৬২৫৩ দাগ, নকঁশাতে অবস্থান উল্লেখ্য আছে ৬২৫৪ নম্বার দাগের। এ নিয়ে এলাকায় চলছে স্নায়ু যুদ্ধ। টিটন, ইজাল উদ্দীন সহ এলাকাবাসীর দ্বাবী প্রায় ৮ থেকে ৯ বছর নতুন মালিক রোজিনার স্বামী জুলফিকার এবং একই এলাকার হাবিলের পুত্র আরিফ যৌথ ভাবে ঐ জমি ক্রয়সূত্রে ভোগ-দখল করে আসছে। এখন হঠাৎ করেই তারা অন্যের জমি দখল করতে উঠে পড়ে লেগেছে। তাঁহার আরও বলেন কম দামের জমি ছেড়ে দিয়ে এখন জোরপূর্বক বেশী দামের জমি দখলের পাঁয়তারা চালাচ্ছেন ওরা। জমির মূল মালিক করিম মণ্ডলের পুত্র বারেক মণ্ডলের দ্বাবী তিনি সোনাতনপুর পুর মৌজা\'র ৬২৫৪ নম্বার দাগের জমি ২৬ শতাংশ রোজিনা এবং আরিফের কাছে বিক্রি করেছে। তাহলে তাদের দলিলে কিভাবে ৬২৫৩ নম্বার দাগে লিপিবদ্ধ হলো। জনমনে প্রশ্ন এই দ্বায়ভার কার? এদিকে হাবিলের পুত্র আরিফ ২৯/০২/২০২৪ ইং তারিখে গঞ্জের আলীর পুত্র বেল্টু হোসেনকে আসামী করে দিয়েছেন সহকারী জজ আদালত ঝিনাইদাহ কোর্টে মামলা। যার মোকাদ্দামা নং ৩২/২৪. জমির মূল মালিক করিম মণ্ডলের পুত্র বারেক মণ্ডলের নিকট থেকে ক্রয়সূত্রে ৬২৫৩ দাগে ১৭ শতাংশ জমি গঞ্জের আলীর পুত্র বেল্টু হোসেন ক্রয় করেন ০১/০৩/২০২১ সালে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নানা বিচার শালিশ করার পরও রেহায় পাচ্ছেন না ঐ কৃষক বারেক মণ্ডল। জমি নিয়ে বিরোধের একপর্যায়ে গ্রাম্য শালিশে উভয় পক্ষ একমত হয়ে একটি আপোশ নামায় স্বাক্ষর করেন গ্রামবাসী। এতেও তেমন কোনও সুফল আসেনি। পরবর্তীতে হরিণাকুণ্ডু থানায় একটি সমঝোতা মাধ্যমে আপোশ করার চেষ্টা করলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। এদিকে জুলফিকার এবং একই এলাকার হাবিলের পুত্র আরিফের সাথে কথা বলিলে তাঁহারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমরা মূর্খ মানুষ, আমাদের যেখানে দেখিয়ে দিয়েছে আমরা সেখানেই এযাবৎকাল চাষ করে আসছি। জুলফিকারের স্ত্রী রোজিনা খাতুন বলেন যারা ভূল করে দাগ নম্বার তুলে দিয়েছে এর জন্য কি আমরা দ্বায়ী? তবে পরিপূর্ণ বক্তব্য না দিয়ে বিস্তারিত পরে জানানোর কথা বলেন ওরা। এব্যাপার হরিণাকুণ্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জিয়াউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে শনিবার (৩০ মার্চ) তিনি জানান,জমি নিয়ে এমন একটি উদ্ভট ঘটনার বিষয় জানতে পেরে আমাদের পুলিশ ফোর্স তাৎক্ষণিকভাবে নিভৃত করতে উভয় পক্ষকে থানায় হাজির করেন। ঘটনার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বারেক মণ্ডলের বিক্রিত জমির দাগ নম্বার ভুল রেজিষ্ট্রি হয়। অপরদিকে আরিফ এবং জুলফিকার কোর্টে একটি মামলা করেছেন তাই তিনারা মাননীয় কোর্টের রায়ের সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন বলে সিদ্ধান্তগ্রহণ করেন।