হাত হারানো সেই শিশুকে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার শুনানি ৮ মে
অনলাইন নিউজ ডেক্স

ওয়ার্কশপে কাজ করতে হাত হারানো শিশু নাইম হাসানকে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ না দেওয়া সংক্রান্ত আদালত অবমাননার মামলাটি ৮ মে পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট। ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৩০ লাখ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট রিসিপ্ট হিসাব (এফডিআর) করে দেওয়ার রায় পালন না করায় তলবে আপিল বিভাগে হাজির হন কারখানা মালিক।হাইকোর্টের নির্দেশ সোমবার অনুসারে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী তাকে হাজির করান। এ সময় শিশু নাইম ও তার বাবা উপস্থিত ছিলেন। আদালতে শিশুর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ওমর ফারুক।আদালতে রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, আমরা মামলা লড়তে আসিনি। দু’পক্ষের মধ্যে স্থানীয়ভাবে আলাপ আলোচনাও চলছে। আমরা একটা রিভিউ করেছি। আদালতের একটা আদেশ প্রয়োজন। এরপর আদালত ৮ মে পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন।পরে আইনজীবী ওমর ফারুক বলেন, ‘আদালত সব কিছু দেখেছেন। কারখানা মালিকপক্ষের আইনজীবী বলেছেন-রিভিউ ফাইল করেছেন। এবং রেডি টু পে। এই কথার আলোকে কোর্ট আজকে ৮ মে পর্যন্ত মুলতবি করেছেন। কারখানা মালিককে হাজির থাকতে বলেছেন। একইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকেও উপস্থিত থাকতে বলেছেন। আমরা মনে করি ৮ তারিখে তারা টাকা নিয়ে আসবে, আদেশ পালন করে কোর্টের সামনে আসবে-এটুকু প্রত্যাশা।’নাইম হাসানের বয়স ১০ বছর। পড়ছে চতুর্থ শ্রেণিতে। বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা গ্রামে। তার বাবা আনোয়ার হোসেনের পেশা জুতা ব্যবসা। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর সময়ে আনোয়ার হোসেন কর্মহীন হয়ে পড়েন। এ সময় সংসারের চাপ সামলাতে নাইমকে তার মা-বাবা কিশোরগঞ্জের ভৈরবের একটি ওয়ার্কশপে কাজে দেন। এই ওয়ার্কশপের কাজ করতে গিয়েই মাসখানেক আগে তার ডান হাতটি মেশিনে ঢুকে যায়। শেষে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কনুই থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয় ডান হাতটি।২০২০ সালের ১ নভেম্বর ‘ভৈরবে শিশুশ্রমের করুণ পরিণতি’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনটি যুক্ত করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে শিশুটির বাবা হাইকোর্টে রিট করেন।রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে একই বছরের ২৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করেন। রুলে শিশুটিকে দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
