সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ দখল আর দূষণে অস্তিত্ব সংকটে মরে যাচ্ছে সরস্বতী নদী
অনলাইন নিউজ ডেক্স
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ভিতর দিয়ে বয়ে যাওয়া ফুলজোর নদীর শাখা সরস্বতী নদীটি পানি শুকিয়ে মরা খালে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে খনন না করায় দখল নিয়ে এই নদীর বুকজুড়ে চলছে নানা ধরনের ফসলের চাষাবাদ এতে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে নদীটি।
সেচের অভাবে নদীর দুই পাড়ের জমিগুলোতে ফসল ফলাতে পারছেন না স্থানীয় কৃষকরা। সরকার নদীটি খননের উদ্যোগ নিলে পাল্টে যেতে পারে এই এলাকার কৃষি চিত্র\'। সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায় উপজেলার নলকা ইউনিয়নের কুমাজপুর মৌজার সাহেবগঞ্জের মুরাদপুর গ্রাম থেকে সরস্বতী নদীটি শুরু হয়ে অন্য উপজেলায় ঢুকে পড়েছে। দীর্ঘ পথ ঘুরে এলে নাদীটিতে মাটি পড়ে ভরাট হওয়ায় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি নদী দখল নিয়ে ঘর তুলছে ও বিভিন্ন ধরনের চাষাবাদ করছে। একদিকে শুকনো মৌসুমে নদীর তীরবর্তী কৃষকেরা পানির অভাবে ফসলী জমিতে সেচ দিতে পারছেনা\'। আর বর্ষা মৌসুমে নদীটি ভরাট হয়ে এলাকা প্লাবিত হলেও নদীতে পানি থাকে মাত্র এক মাস। এরপর নদীটি আবার সেই মরা খালেই পরিণত হয়। নলছীয়া গ্রামের জলিল মিয়া, ও আদর্শ গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান\' নদীটি দখল আর দূষণের কারণে সরু হয়ে গেছে।কয়েক বছর আগেও নদীর অধিকাংশ স্থানের গভীরতা ১৫-১৬ ফুট ছিল। এখন সেই গভীরতা কমে ৫-৬ ফুট হয়েছে।বর্ষা মৌসুমে কিছু সময় পানি থাকলেও বাকি সময় শুকনা খটখটে থাকে।পানি না থাকায় নদীর বুকে জেগে ওঠা চরে যার যার জমির সামনের জায়গায় দখল নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ফসল আবাদ করছেন। নলকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কার সিদ্দিক বলেন,সরস্বতী নদীটি খননের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন দিয়েছে। রায়গঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তৃপ্তি কনা মন্ডল জানান, সরস্বতী নদীটির বিষয়ে আমার জানা ছিলনা। বিএডিসির কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে নদী খননের ব্যবস্থা করব।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।