তানজিমের বিতর্কিত পোস্ট নিয়ে যা বললেন মিরাজ
অনলাইন নিউজ ডেক্স
সদ্য শেষ হওয়া এশিয়া কাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে শক্তিশালী ভারতকে পরাজিত করে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে অভিষেকে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন তরুণ পেসার তানজিদ হাসান সাকিব।
তার কিছু সাম্প্রতিক পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় তরুণ এই পেসারকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।
তানজিদ হাসানকে সান্ত্বনা দিয়ে জাতীয় দলের তারকা অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ নিজেকের ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
মিরাজের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘আমি নিশ্চিত, ‘তুমি কাউকে আঘাত করার উদ্দেশ্যে কিছু বলোনি। হয়ত তোমার উপস্থাপনাটা ভুলভাবে হয়ে গেছে এবং তুমি তা বুঝেছে। বাংলাদেশের সংবিধান ৩৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সবাইকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দিয়েছে, ৪১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নিজ ধর্ম পালন ও প্রচারের স্বাধীনতাও দিয়েছে। তেমনই ইসলামে নারীকে সবচেয়ে বেশি সম্মান দেওয়া হয়েছে। কন্যা-সন্তানকে সবচেয়ে বড় এক নিয়ামত বলা হয়েছে, মায়ের পদতলে সন্তানের জান্নাত বলা হয়েছে ও স্ত্রীকে সবচেয়ে বড় প্রশান্তির মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। ফলে নারীবিদ্বেষের কথা তো এখানে আসেই না।’
‘সামনে তোমার এক দারুণ ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অনেক কিছু দেওয়ার আছে তোমার। শুভকামনা রইল তানজিম হাসান সাকিব, আল্লাহ তোমার সহায় হোক। সরল সত্যের পথে অটুট থাকো।’
মাসখানেক আগে এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তানজিম হাসান সাকিব বলেছিলেন- ‘ক্রিকেট আমার পেশা। এখান থেকে আমি উপার্জন করি; কিন্তু আমার আসল জীবন হলো... আমি পরকালে যদি সফল হতে না পারি তাহলে আসলে আমি ব্যর্থই থেকে যাব। আমি নিজেকে প্রস্তুত করছি আল্লাহর জন্য। কারণ সবাইকে একদিন মৃত্যুবরণ করতে হবে। কখন কে মারা যাবে, কেউ জানে না। তাই আমি চেষ্টা করি সবসময় ইসলাম মেনে চলার জন্য, ইসলামের মধ্যে থাকার জন্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘আর এই জিনিসটা আমার খেলাকেও অনেক সাহায্য করে। আমাকে শৃঙ্খল থাকতে শেখায়। মানসিকভাবেও আমি শক্ত থাকি। আমার অন্য কোনো দিকে নজর যায় না, একদিকেই ফোকাস ধরে রাখতে পারি। এটা আমাকে দুনিয়া ও আখিরাত দুই দিকেই সাহায্য করছে।’
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।