ঘটনাবহুল ৭ নভেম্বর আজ


ঘটনাবহুল ৭ নভেম্বর আজ। ক্যু-পালটা ক্যুসহ অনেক নাটকীয় ঘটনার মধ্য দিয়ে ১৯৭৫ সালের এদিনে জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পথ সুগম হয়। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো ৭ নভেম্বরকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসাবে পালন করে আসছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতে তারা কর্মসূচি স্থগিত করেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দিবসটিকে মুক্তিযোদ্ধা হত্যা দিবস এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান দিবস হিসাবে দিনটি পালন করে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠন সারা দেশে আজ নানা কর্মসূচি পালন করবে। জাতীয় বিপ্লব এবং সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে বরাবরই বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে। কিন্তু এবার দলটির কোনো কর্মসূচি নেই। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানান, কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। পঁচাত্তরে যারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে এবং এখন যারা পুনরায় নব্য বাকশাল কায়েম করেছে, তারা আবারও নতুন কায়দায় বিরোধী দলকে স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য বিএনপি কার্যালয়ে তালা লাগিয়েছে। মহাসচিবসহ গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে। নেতাকর্মীরা বাসায় থাকতে পারছেন না। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া অসুস্থ। তাকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। এক ধরনের ভয়ংকর পরিবেশে বাস করছে গণতন্ত্রকামী মানুষ ও জাতীয়তাবাদী শক্তি। এ নিষ্ঠুর ও নির্দয় পরিবেশের কারণে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) নানা কর্মসূচি পালন করবে। জাসদের পক্ষ থেকে আজ বিকালে কর্নেল তাহের মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে জাসদের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত থাকবেন। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে জানানো হয়, ৭ নভেম্বর স্বজাতির স্বাধীনতা রক্ষায় অকুতোভয় দেশপ্রেমিক সৈনিক এবং জনতার ঢলে রাজপথে এক অনন্য সংহতির স্ফুরণ ঘটে এবং জিয়াউর রহমান বন্দি অবস্থা থেকে মুক্ত হন। এ অম্লান বিপ্লবে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষিত হয়। গণতন্ত্র অর্গলমুক্ত হয়ে বিকাশের পথে এগিয়ে যায়, এদিন থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের পরাজিত গোষ্ঠী আবারও নব্য বাকশালি সরকার রাষ্ট্রক্ষমতাকে অবৈধভাবে আঁকড়ে আছে। সরকারের নতজানু নীতির কারণেই দেশের সার্বভৌমত্ব ক্রমাগত দুর্বল হয়ে পড়ছে। দেশীয় রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির স্বাধীন সত্তাকে হরণের চেষ্টা থেমে নেই। গণতন্ত্র ও মানুষের বাকস্বাধীনতা আজ নির্বাসিত। দেশে এক ঘোর দুর্দিন বিরাজমান। তাই ৭ নভেম্বরের চেতনায় জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।