আইসিটি’র ফেসবুক-ইউটিউব বন্ধ, পাসওয়ার্ড জানেন শুধু পলক


আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বন্ধ রয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল। বিভাগের ওয়েবসাইটে তাদের অফিসিয়াল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের লিংকে ক্লিক করলে কিছু পাওয়া যায় না।খবর নিয়ে জানা গেছে, আইসিটির ফেসবুক পেজ ও চ্যানেলের পাসওয়ার্ড জানেন কেবল সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।আইসিটি বিভাগ সূত্র জানায়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল পরিচালনা করতো ঢাকা লাইভ নামের একটি স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ও ডিজিটাল মার্কেটিং টিম। পাশাপাশি আইসিটি বিভাগের নানা আয়োজন সামাজিকমাধ্যমে প্রচারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাদের। আর এই সব কিছু এককভাবে তদারকি করতেন জুনাইদ আহমেদ পলক।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীর কাওরান বাজারে ঢাকা লাইভের প্রধান কার্যালয়টি বন্ধ। তাদের ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজও বন্ধ রয়েছে।আইসিটি বিভাগের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে আইসিটি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন বলেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে সামাজিক মাধ্যমগুলো নিয়ন্ত্রণ করতেন। এগুলোর পাসওয়ার্ড তার জানা। তবে এসব পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে।সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবচেয়ে সক্রিয় এবং অনুসারীর দিক দিয়ে শীর্ষে ছিলেন সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ। ফেসবুকে তার নিজের নামেও ভেরিফায়েড পেজ ছিল। সেটাও এখন বন্ধ।বিদেশ ভ্রমণে উদার পলক, পিছিয়ে ছিলেন না আমলারাওসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সরকারি বিভিন্ন বিভাগের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল রাষ্ট্রীয় অংশ। এটির নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনায় সঠিক বিধি তৈরি হওয়া উচিত। কোনও ব্যক্তির পরিবর্তন হবে, কিন্তু পেজ ও চ্যানেল সচল থাকবে।অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, আইসিটি বিভাগের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রণালয়ের কাছে না দিয়ে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে পরিচালনা করতেন। তিনি শেষ সময়ে পেজগুলো বন্ধ করে দিয়েছিলেন। পুনরায় চালুর জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও দলটির নেতাকর্মীরা। কেউ কেউ গ্রেফতারও হয়েছেন। গত ৬ আগস্ট দেশ ছাড়ার সময় বিমানবন্দরে আটক হন সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলকও। এরপর ১৪ আগস্ট হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় তাকে।