যে অভিমানে অধিনায়কত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন শান্ত


দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের মাঝ পথে খবর চাউর হয়; সিরিজ শেষেই তিন ফরম্যাটের নেতৃত্ব ছাড়ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। যদিও শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজেও অধিনায়ক হিসেবে টিকে গেছেন তিনি। এ অবস্থায় জনমনে প্রশ্ন; হঠাৎ কেনই বা নেতৃত্ব ছাড়তে চাইলেন শান্ত, আবার কি কারণেই বা নেতৃত্ব দেখা যাচ্ছে তাকে। কোন অভিমানে সরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন তিনি। কেই বা তার সেই অভিমান ভাঙিয়ে নেতৃত্ব দিতে রাজি করাল? জানা গেছে শান্তর অভিমানের নেপথ্যের কারণ, সেই অভিমান কীভাবে ভেঙেছে জানা গেছে সেটিও। জানা গেছে, দলের ব্যর্থতায় অধিনায়ক হিসেবে তাকে সমালোচনার মধ্যে দিয়ে যেতে হলেও দল নির্বাচনে কোনো ভূমিকাই ছিল না শান্তর। অধিনায়ক হিসেবে দল নির্বাচনে কোনো ইনপুট দিতে পারতেন না তিনি। প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেনের সঙ্গে যা নিয়ে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল শান্তর। যে কারণে হতাশায় নেতৃত্ব থেকে সরে যেতে চেয়েছিলেন শান্ত। পরে এ বিষয়গুলো বর্তমান বোর্ডপ্রধান ফারুক আহমেদের সঙ্গে মন খুলে শেয়ার করেছেন শান্ত। আর তাতেই গলেছে শান্তর অভিমানের বরফ। নেতৃত্ব ইস্যুতে মত বদলেছেন শান্ত। আর সে কারণেই আফগানিস্তান সিরিজে অধিনায়ক হিসেবে রাখা হয়েছে শান্তকে। বিসিবি প্রধানের সঙ্গে শান্তর এই বৈঠক হয়েছে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম টেস্ট শেষে। যেখানে বিদেশ থেকে দেশে ফেরার পর অধিনায়ক শান্তর কথা শোনেন ফারুক আহমেদ। সভাপতির কাছে শান্তর অভিযোগ ছিল, দল গঠন ও পরিচালনার ক্ষেত্রে নির্বাচক প্যানেলের কাছ থেকে পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছেন না তিনি। সেই একই মিটিংয়ে ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজও। কেননা, তাকে বলা হয়েছিল, কোন কারণে শান্ত নেতৃত্ব দিতে রাজি না থাকলে তিনিই হবেন দুই ফরম্যাটে বাংলাদেশের অধিনায়ক। তবে শান্তর এখন মত বদল হওয়ায় নেতৃত্ব পাচ্ছেন না মিরাজ। তবে তাকে সহ-অধিনায়ক করা হয়েছে শান্তর।