সকালে ঘুম থেকে উঠেই সারারাত ভেজানো কিশমিশের পানি খেলে যা হয়


সকালে ঘুম থেকে উঠেই সারারাত ভেজানো কিশমিশের পানি খেলে যা হয়
সকালে ঘুম থেকে উঠেই সারারাত ভেজানো কিশমিশের পানি খাওয়ার অভ্যাসটি একটি প্রাচীন ও স্বাস্থ্যসম্মত রীতি হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পানীয়টি পেট পরিষ্কার, হজম শক্তি বৃদ্ধি, ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য উন্নত, এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। কিশমিশের পানির পুষ্টি উপাদান কিশমিশের পানিতে নিম্নলিখিত পুষ্টি উপাদানসমূহ থাকে: ফাইবার: হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। আয়রন: রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে সহায়ক। পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম: রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ক্যালসিয়াম ও বোরন: হাড় ও জোড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস: শক্তি বৃদ্ধি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। স্বাস্থ্য উপকারিতা ১. হজম শক্তি বৃদ্ধি ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণ: কিশমিশের পানিতে থাকা ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ২. লিভার ও কিডনি ডিটক্সিফিকেশন: এই পানীয়টি লিভার ও কিডনিকে ডিটক্সিফাই করে, ফলে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যায়। ৩. রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ: কিশমিশে থাকা আয়রন রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে সহায়ক। ৪. হৃদরোগ প্রতিরোধ: পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, যা হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক। ৫. ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য: অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। ৬. শক্তি বৃদ্ধি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: প্রাকৃতিক সুগার ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স শরীরের শক্তি বৃদ্ধি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সতর্কতা অতিরিক্ত খাওয়া: অতিরিক্ত কিশমিশ খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীরা: প্রাকৃতিক সুগার থাকায় ডায়াবেটিস রোগীরা পরিমাণমতো খাওয়া উচিত। অ্যালার্জি: কিছু ব্যক্তির কিশমিশে অ্যালার্জি থাকতে পারে, তাই খাওয়ার আগে পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত। প্রস্তুতির পদ্ধতি ১০-১২টি কিশমিশ ভালোভাবে ধুয়ে নিন। এক কাপ পানিতে কিশমিশগুলো ভিজিয়ে রাখুন। রাতভর ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালি পেটে এই পানি পান করুন। সকালে ঘুম থেকে উঠেই সারারাত ভেজানো কিশমিশের পানি খাওয়া একটি সহজ ও প্রাকৃতিক উপায় যা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। যদিও এটি একটি প্রাচীন রীতি, তবে আধুনিক গবেষণাও এর উপকারিতা সমর্থন করে। তবে, যেকোনো নতুন খাদ্যাভ্যাস শুরু করার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।