নাটোরে ঝড়ে ভেঙ্গে পড়লো শতবর্ষী গাছ ‘অচিন বৃক্ষ’


নাটোরের সিংড়ায় সুকাশ ইউনিয়নের শতবর্ষী অচিন \'বৃক্ষ মানিক\' ঝড়ে ভেঙ্গে পড়েছে। এই বৃক্ষটি দেখতে অনেক দুর-দুরান্ত থেকে বৃক্ষপ্রেমিরা আসতেন। তবে স্থানীয়দের কাছে এ বৃক্ষটি \'খিরির গাছ\' নামে পরিচিত ছিল। শনিবার(১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ঝড়ে গাছটি ভেঙ্গে পড়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সুকাশ ইউনিয়নের দুলশী নামক স্থানে উচু ঢিবিতে শতবর্ষী এই গাছ ঐতিহ্যের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। এ গাছে ফলটি খেতে খিরের সাদের মত লাগে। তাই স্থানীয়রা এই বৃক্ষের নাম দিয়েছেন ‘খিরির গাছ’। এ ফলের বিচি রয়েছে। কিন্তু বিচি থেকে কোন চারা গজায় না। ফলে জন্ম নেয়ার পর থেকে একাই শত শত বছর ধরে কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে বৃক্ষটি। সবচেয়ে প্রাচীন এই বৃক্ষ নাটোর জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করে গেছেন। গাছটির উচ্চতা প্রায় ৫০ ফুট প্রস্থ ও প্রায় ১৫০ বর্গফুটের মতো। গাছটি বিভিন্ন গবেষক গণ পরিদর্শন করেছেন। বিরল প্রকৃতির এই গাছের সংখ্যা আমাদের দেশের কমই দেখা যায়। তৎকালীন নাটোরের পুলিশ সুপার এই গাছটির নামকরণ করেন \'বৃক্ষ মানিক\'। স্থানীয় কৃষক হান্নান হোসেন বলেন, সঠিক এ গাছের বয়স কেউ বলতে পারেন না। আমরা ছোটবেলা থেকেই এ গাছটি দেখছি। আমার বাবাও দেখেছেন। তবে গাছটির বয়স অনেক হবে। জৈষ্ঠ মাসে আঙ্গুল ফলের মতো ফল ধরে খেতেও খুব সুস্বাদু। ফলের ঘ্রাণ খিরের মতো হওয়ায় এর নাম আমরা \'খিরগাছ\' রেখেছিল। এ গাছটি দেখতে বহু দুর থেকে মানুষ আসেন। এখানে এসে মানদ করেন। কেউ কেউ এখানে এসে খিচরীও রান্না করে সবাই মালে খেয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, বৃদ্ধি হবার পর থেকেই এ গাছটি দেখছি। আসলে এর সঠিক বয়স কেউ জানে না। বাবা দাদারা গল্প করেন। তারাও ছোট বেলা থেকে গাছটি দেখছেন। তবে গাছটির এত বিশাল যা এমন গাছ খুব কমা দেথা যায়। অনেকে পরিবার নিয়ে দেখতে আসে এ গাছ। সাংবাদিক ও পরিবেশকর্মী এস.এম রাজু আহমেদ বলেন, গাছটি আমাদের সিংড়ার ঐতিহ্য সিংড়া উপজেলা সহ বিভিন্ন জেলা উপজেলার মানুষ দেখতে আসে এই বৃক্ষ মানিককে গতকাল রাতে গাছটি ভেঙ্গে পড়ার খবর পেয়ে খুবই দুঃখ পেয়েছি, কেননা এই গাছের নিচে অনেক খেটে-খাওয়া মানুষ প্রাণ জুড়াতো।