শালিখায় যথাযথ মর্যাদায় ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন


শালিখায় যথাযথ মর্যাদায় ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন
মাগুরার শালিখা উপজেলায় গভীর শ্রদ্ধা,যথাযথ মর্যাদা ও পূর্ণ ভাবগাম্ভীর্য সহকারে অমর একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে ৫২এর ভাষা শহীদদের স্মরণের ‘মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালন করেছে।উপজেলা প্রশাসন,উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ,উপজেলা আওয়ামী লীগ,বি.এন.পি,জাতীয় পার্টি, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল,সামাজিক সংগঠন,ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ৫২ ভাষা শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। মঙ্গলবার(২১শে ফেব্রুয়ারী) রাত ১২টা এক মিনিটে শালিখা উপজেলার সরকারি আইডিয়াল হাই স্কুল মাঠ চত্বরে কেন্দীয় শহীদ মিনারে গভীর শ্রদ্ধায় পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।এসময় প্রথম প্রহরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন,শালিখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. কামাল হোসেন,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমিন মনিরা,উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উম্মে তাহমিনা মিতু,শালিখা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বিসারুল ইসলাম,উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু বক্কর মাষ্টার,উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. শ্যামল কুমার দে,সহ-সভাপতি ও ধনেশ্বর গাতী ইউপি চেয়ারম্যান বিমলেন্দু শিকদার,উপজেলা জাতীয়তাবাদী দলের ( বি.এন.পি) আহবায়ক মোঃ আনিসুর রহমান মিল্টন,উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রেজাউল ইসলাম,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন আক্তার শাবানা,জেলা পরিষদ সদস্য আবু হানিফ মুন্সি,আড়পাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আরজ আলী বিশ্বাস,আড়পাড়া বাজার বনিক সমিতির সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়। এছাড়া প্রথম প্রহরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ,সেচ্ছাসেবক লীগ,কৃষক লীগ,ছাত্র লীগ,জাতীয়তাবাদী যুবদল,ছাত্র দলসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। উল্লেখ্য,আজ মাতৃভাষা আন্দোলনের ৭১ বছর পূর্ণ হলো।একুশে ফেব্রুয়ারি শোকাবহ হলেও এর যে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় রয়েছে,তা পৃথিবীর বুকে অনন্য।কারণ বিশ্বে এ যাবতকালে একটি মাত্র জাতিই ভাষার জন্য জীবন দিয়েছে।আর সে জাতি হলো বাঙালি। ১৯৫২ সালের এদিনে ‘বাংলা’কে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্র ও যুবসমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ প্রশাসনের জারিকৃত ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে রাজপথে মিছিল নিয়ে নেমে আসে।মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের এ দুর্বারগতি পাকিস্তানি শাসকদের শঙ্কিত করে তোলায় সেদিন ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে সালাম,জব্বার,শফিক,রফিক ও বরকতগুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন।ভাষা শহীদদের রক্তের বিনিময়ে বাঙালি জাতি সেদিন ‘মায়ের ভাষা’র মর্যাদা অর্জনের পাশাপাশি রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও পায় নব প্রেরণা।এরই পথ ধরে শুরু হয় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ।