সাফল্যের জন্য সবাইকে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি
অনলাইন নিউজ ডেক্স
দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও ব্যন্ডদল চিরকুটের ভোকালিস্ট শারমিন সুলতানা সুমি। কণ্ঠ দেয়ার পাশাপাশি, গান লেখা এবং সুরও করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজেও দেখা যায় তাকে। বর্তমান ব্যস্ততা এবং সমসাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে আজকের ‘হ্যালো...’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি।সম্প্রতি নরওয়ে থেকে মিউজিক কনফারেন্সের আমন্ত্রণ পেয়েছেন। কেমন লাগছে?অসাধারণ। এ ধরনের আমন্ত্রণের জন্য আমি মুখিয়ে থাকি। কারণ এটা গান গাওয়ার জন্য নয়, গান বিষয়ক আলোচনার জন্য। সেখানে বিভিন্ন দেশের প্রফেসর, সংগীতজ্ঞরা থাকেন। যারা মিউজিক নিয়ে কাজ করেন, রিসার্চ করেন, তারা উপস্থিত থাকেন। বিভিন্ন আইডিয়া শেয়ার করা হয়। আমি আমার কাজ, আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। সব মিলিয়ে পুরো সময়টা আমি ভীষণ উপভোগ করি। আর শেখার দিক থেকে চিন্তা করলেও প্রত্যেকবার অনেক জ্ঞান নিয়ে ফিরি।
এর আগেও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগীত সম্মেলনে গিয়েছেন। অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?এর আগে ভারত, শ্রীলঙ্কা, নরওয়ে, পর্তুগালে সংগীতবিষয়ক সম্মেলনে অংশ নিয়েছি। গত ২১ বছর ধরে দেশ ও ১১ বছর ধরে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে নিজেদের ব্যান্ড (চিরকুট), বাংলা গান নিয়ে কথা বলছি। ব্যান্ড বা গান করার পাশাপাশি সংগীত নিয়ে কাজ করার জন্যই তারা আমাকে আমন্ত্রণ জানায়। দেশের প্রক্ষাপটে শুধু সংগীতকেই একমাত্র ক্যারিয়ার করে কিভাবে টিকে থাকছি, কী কৌশল অবলম্বন করছি তা তারা জানতে চায়। পৃথিবীর মানুষ এখন বাংলাদেশের গানের বিস্তৃত কথা আমাদের কাছে শুনতে চায়। তারা আমাদের উত্থান, যাত্রা, সংস্কৃতি সম্পর্কে জানাতে চায়।সংগীতের সঙ্গে কৌশল, একসঙ্গে করলেন কীভাবে?সংগীত আর কৌশল তো পাশাপাশিই অবস্থান করে। আমি শুরু থেকেই আমার ব্যান্ড, গান, ব্যবসা নিয়ে ভীষণ কৌশলি। খুব পরিকল্পনামাফিক সব করেছি। টিমের সবাইকে সমান গুরুত্ব দিয়েছে। কারণ আমি বিশ্বাস করি, সাফল্যের জন্য সবাইকে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। এসব কৌশলের কারণেই আমরা মিউজিককে ফুলটাইম ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে পেরেছি। ব্যান্ড করেই আমাদের সংসার চলে। আরে সেটা বেশ ভালো ভাবেই চলে।মিউজিকের পাশাপাশি আপনাকে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয় নিয়েও কাজ করতে দেখা যায়...
পৃথিবীতে চলমান সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম বড় সমস্যা কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন। আমাদের পরিবেশ, আবহাওয়া, জলবায়ু সব কিছুই খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের বেঁচে থাকার জন্য এগুলোর খেয়াল রাখা খুব জরুরি। তাই সুযোগ পেলেই পরিবেশ বিষয়ক কাজে লেখে পড়ি। যেমন কিছুদিন আগে আমাদের ‘নদী রক্স’ নামে একটি প্রজেক্ট শেষ হলো। সামনেই এর সিজন টু আসছে।দাতব্য কাজ করা কতটা চ্যালেঞ্জিং?ভীষণ চ্যালেঞ্জিং। অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। তবে আমি সমস্যাকে গুরুত্ব দিয়ে চাইনা। কাজ হয়েছে, সফলভাবে হয়েছে। এটাই বড় বিষয়।বর্তমান ব্যস্ততা কী নিয়ে?মিউজিক, কনসার্ট এগুলো নিয়েই ব্যস্ততা। আমাদের চতুর্থ আলবামের কাজ করছি। পাশাপাশি সিনেমার গানও করছি।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।