আত্রাইয়ে একটি পরিবারের মামলা জটে পুরো গ্রামের মানুষ অতিষ্ট


আত্রাইয়ে একটি পরিবারের মামলা জটে পুরো গ্রামের মানুষ অতিষ্ট
নওগাঁর আত্রাইয়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে একটি পরিবারের দাপটের কারণে পুরো গ্রামের মানুষ অতিষ্ট। মামলা করেন ইচ্ছে মতো। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মনিয়ারী ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামে ।জানা যায়, অনেক বছর আগে ওই গ্রামের ছবির উদ্দিন প্রামানিক বাহাদুরপুর মৌজার ৯৬৪ দাগে ৩৩ শতক জমি দমদত্তবাড়িয়া গ্রামের লোকমান সাহার নিকট বিক্রি করেন। ছবির উদ্দিন মারা যাবার পর তার ছেলে কুদ্দুস গত ২০২২ সনে জমির মালিকানা দাবি করে কোর্টে মামলা করেন। বিষয়টি তদন্তের জন্য আত্রাই থানাকে কোর্ট নির্দেশ দেন। কুদ্দুসের দাবির প্রেক্ষিতে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি না ঘটে সে লক্ষে উভয় পক্ষের সম্মতিতে মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জমিতে ফসল ফলানো এবং ফসলের লভ্যাংশ সংরক্ষনের দায়িত্ব বাহাদুরপুর গ্রামের গ্রামপ্রধানদের দেওয়া হয়। পরবর্তীতে মামলার রায় যার পক্ষে আসবে সে ফসলের যাবতীয় পাওনা পেয়ে যাবেন মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। শালিশের সিদ্ধান্ত অমান্য করে পরের বছর পরিবারের লোকজনকে আবদ্ধ এবং ঘরবাড়ী ভাঙচুরের কথা উল্লেখ করে লোকমানের ছেলে জলিলসহ ৫/৬ জন গ্রাম প্রধানের নামে পর পর তিনটি মামলা করেন কুদ্দুস। এতে গ্রামের মানুষের সম্মানের হানি ঘটায় প্রতিকার চেয়ে গ্রামবাসী স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেন।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুদ্দুসের বাড়িতে তার স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। বড়ীর কোনরুপ ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়নি। কুদ্দুস কোথায় জানতে চাইলে তার স্ত্রী জানান, নওগাঁতে গেছেন। কুদ্দুসের মোবাইলে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়।মনিয়ারী ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য হাসান আলী জানান, গ্রামের শান্তি নষ্ট না করে সকলে মিলে মিশে থাকার লক্ষে উদ্যোগ নেওয়ায় কুদ্দুস আমার নামে পারপার দুটি মামলা করেন। তার অত্যাচারে পুরো গ্রামের মানুষ জ্বলছে।ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান এসএম ফারুক বখত জানান, শান্তির লক্ষে কুদ্দুসকে নিয়ে কয়েকবার গ্রামে এবং থানায় বসেছি। শালিসে কুদ্দুস সকল কিছু মেনে নিয়ে পরবর্তীতে গ্রমের সম্মানিত মানুষের নামে একের পর এক মিথ্যা মামলা করে তাদের সম্মান হানি ঘটিয়ে চলেছেন যা কষ্টদায়ক। সম্প্রতি নাটক সাজিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে কুটসা রটাচ্ছেন আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সেইসাথে তদন্ত করে প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করে প্রকৃত অপরাধীর চরম শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।মনিয়ারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সম্রাট হোসেন বলেন, শান্তির লক্ষে গ্রামবাসীর অভিযোগ আমলে নিয়ে কুদ্দুসের সাথে কথা বলে ১৬ মে শুক্রবার বাহাদুরপুর গ্রামের মসজিদে গ্রামবাসী এবং কুদ্দুসের পরিবার নিয়ে বসার দিন ধার্য্য করে নোটিশ পাঠালে কুদ্দুস নোটিশ গ্রহণ করেন। ওই দিন গ্রামের সকল মুসল্লি মসজিদে উপস্থিত হলেও কুদ্দুস ও তার পরিবারের কোনো সদস্য সেখানে উপস্থিত হননি। গ্রাম পুলিশসহ আমি কুদ্দুসের বাড়ী পরিদর্শণ করি। সেখানে গিয়ে কুদ্দুসের স্ত্রী-সন্তানের সাথে কথা হয়। কুদ্দুস কোথায় জানতে চাইলে তার স্ত্রী জানান নওগাঁয় গেছে। পরিদর্শণকালে কুদ্দুসের বাড়ীর কোনরুপ ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন পাওয়া যায়নি।