একদিনে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও বায়োমেট্রিক কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন নওগাঁর ডিসি।


স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের অংশ হিসেবে এবং বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) এর কার্যক্রম আরো গতিশীল করতে এবং সেবা গ্রহীতাসহ সাধারণ মানুষের দীর্ঘ দিনের দুর্ঘোভ লাঘবে নওগাঁয় সারাদেশের ন্যায় একই দিনে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও বায়োমেট্রিক কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় নওগাঁ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন নওগাঁর জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) এর মোটরযান ইন্সপেক্টর ফয়সাল হাসান জানান, একই দিনে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও বায়োমেট্রিক কার্যক্রমের উদ্বোধনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের দীর্ঘ দিনের ভোগান্তি লাঘব হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের অংশ হিসেবে এই কার্যক্রম উদ্বোধন হওয়ার ফলে সেবা গ্রহীতাদের বার বার বিআরটিএ অফিসে এসে ধর্না দিতে হবে না। সেবা গ্রহীতারা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে, ব্যাংকে সরকারী ফি জমা দিবেন এবং এক দিনই বিআরটিএ অফিসে আসবেন। ওই দিনই তার ড্রাইভিং লাইসেন্স ও বায়োমেট্রিক কার্যক্রম শেষ করে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করবেন। লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষা এবং ফিল্ড টেষ্টে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে সেবা গ্রহীতার ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরী হয়ে যাবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরী হয়ে গেলে সেন্ট্রাল সার্ভার থেকে একটি মেসেজ যাবে সেবা গ্রহীতার মোবাইলে সেদিন এসে সেবা গ্রহীতা তার ড্রাইভিং লাইসেন্স উত্তোলন করে নিয়ে যাবেন। আবার কেউ যদি মনে করেন সরকারী ফি প্রদানের মাধ্যমে বাড়ীতে বসে ড্রাইভিং লাইসেন্স গ্রহন করবেন তাও সম্ভব। সেবা গ্রহীতা সরকারী ফি এবং তার বাড়ীর সঠিক ঠিকানা প্রদানের মাধ্যমে পোস্ট অফিসের সেবার মাধ্যমে বাড়ীতে বসেই লাইসেন্স গ্রহন করতে পারবেন। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) এর সহকারী পরিচালক (এডি) হারুন উর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেচ মো. আব্দুল করিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) এর মোটরযান ইন্সপেক্টর ফয়সাল হাসান, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (প্রশাসন) বিকর্ন কুমার চৌধুরী, ডা. আশিষ কুমার সরকারসহ জেলা প্রশাসন, পুলিশ বাহিনী এবং বিআরটিএ এর উধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী দিনে নওগাঁয় পেশাদার ও অপেশাদার মিলিয়ে মোট ২২৫ জন সেবা গ্রহীতার ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং বায়োমেট্রিক কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।