কাজের আশ্বাসে তরুণীকে ঢাকায় নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ


কাজের আশ্বাস দিয়ে এক তরুণীকে নেত্রকোনার মদন উপজেলা থেকে রাজধানীতে নিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে দুর্বৃত্তরা। পরে অসুস্থ অবস্থায় আবার তাঁকে মদন উপজেলার রুদ্রশ্রী এলাকায় এনে সড়কের পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা। এর পর থেকে দরিদ্র ওই নারী বিচারের আশায় স্থানীয় প্রভাবশালীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। ভুক্তভোগী তরুণী জানান, তাঁর বাড়ি মদন উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ফতেপুর দেওয়ান পাড়ায়। বেশ কয়েক বছর আগে স্বামী তাঁকে ফেলে অন্যত্র চলে গেছেন। উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের দড়িবিন্নি গ্রামের দেওয়ান আলীর ছেলে মাইক্রোবাস চালক সুবল মিয়া তাঁর পূর্বপরিচিত। ঢাকায় গৃহকর্মীর কাজ দেবে বলে গত ১২ মার্চ সকালে রুদ্রশ্রী এলাকা থেকে তাঁকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেয় চালক সুবল ও গাড়ির মালিক মো. তমজিদ। পরে ঢাকার একটি বাসায় পাঁচ দিন আটকে রেখে তারা ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। ১৭ মার্চ রাতে অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে সুবল ও তমজিদ মদন উপজেলার রুদ্রশ্রী এলাকায় এনে সড়কের পাশে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। তরুণীর বাবা বলেন, আমরা গরিব মানুষ, বাজারে পিঠা বিক্রি করে সংসার চালাই। আমার মেয়েকে বাসাবাড়িতে কাজ দেবে বলে তমজিদ ও সুবল ঢাকায় নিয়ে ধর্ষণ করেছে। ঘটনার পর থেকে টাকার বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তারা আমাকে চাপ দিচ্ছে। আমি এর বিচার চাই। অভিযুক্ত গাড়িচালক সুবল মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সে বলে, মেয়েটির সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। সে আমার সঙ্গে সেচ্ছায় ঢাকা গিয়েছে। তবে একটি ঘটনা যেহেতু সেখানে ঘটেছে, তাঁকে আমি বিয়ে করতে রাজি আছি। ঘটনার সঙ্গে গাড়ির মালিকের কোনো সম্পর্ক নেই। ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেন গাড়ির মালিক তমজিদ। তিনি বলেন, আমি গাড়ি ভাড়া দিয়েছি; চালক কী করেছে তা জানা নেই। চালকের ফোন বন্ধ থাকায় গাড়ির ট্রাকারের মাধ্যমে তাঁদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে আমি মেয়েটিকে উদ্ধার করি। এ বিষয়ে ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান সামিউল হায়দার তালুকদার শফি বলেন, গত মঙ্গলবার মেয়েটিকে নিয়ে তাঁর মা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এসেছিলেন। আমি তাঁদের আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছি। মদন থানার ওসি তাওহীদুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।