চাঁদপুর ও ফুলবাড়ীতে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষে আহত ২০


চাঁদপুর ও ফুলবাড়ীতে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষে আহত ২০
চাঁদপুরের লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নে জাটকা ধরা থেকে বিরত থাকা জেলেদের চাল (বিজিএফ) বিতরণকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।সোমবার দুপুরে বহরিয়া বাজার ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স এলাকায় ৩ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড জেলেদের চাল বিতরণকালে এই ঘটনা ঘটে। এদিকে, ভিজিএফের তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করাকে কেন্দ্র করে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।চাঁদপুরে আহতরা হলেন-বহরিয়া এলাকার আক্কাস খান, সুফিয়ান, আফজাল খান, বোরহান, রাব্বি গাজী, মুকসুদ মিজি, মহসীন মিজি, জায়েদ মিজি, মমিন হাওলাদার ও মন্টু মিজি। আহতরা চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত রাব্বীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।এদিকে, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে আহতদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ফুলবাড়ীর বড়ভিটা ইউনিয়নে রোববার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বড়ভিটা বাজারের ব্যবসায়ীরা দ্রুত দোকানপাট বন্ধ করেন। সংঘর্ষে বড়ভিটা বাজারের আশপাশের এলাকার মানুষও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনে। অপরদিকে ক্ষিপ্ত হয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সচিবকে বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।এতে আহতরা হলেন-বড়ভিটা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল, হাফিজুর রহমান, মুসা মিয়া, শাহারুল ইসলাম, মোকছেদুল হক, রাজু মিয়া, হাবিবুর রহমান হাসু, জিয়াউল হক, আতিকুল ইসলাম ও লাইম। তাদের সবার বাড়ি উপজেলার বড়ভিটা ও চন্দ্রখানা গ্রামে। এদের মধ্যে আব্দুল জলিলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।নোয়াখালীতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘরে হামলা ভাঙচুর : নোয়াখালী (উত্তর) প্রতিনিধি জানান, নোয়াখালীর সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের শিবপুরে চাঁদা না পেয়ে রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কয়েকটি বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়েছে। এ সময় আবদুল্লাহ-আল-মামুন নামের এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে জখম করেছে হামলাকারীরা। ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির ছোট ভাই ও কৃষক দলের আহবায়কের নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্তদের।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার সন্ধ্যায় ইফতারের পর মুদ্দা মার্কেট এলাকার সাগরের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ আল মামুন। এ সময় ইউনিয়ন তাঁতী দলের সভাপতি আরজুর নেতৃত্বে ৮/১০ জন এসে মামুনকে মারধর করে দোকান থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে মামুনের পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে পার্শ্ববর্তী খাজা মার্কেট এলাকা থেকে মামুনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।এ ঘটনার জেরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে আরজু ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাহমুদের ভাই শুভলের নেতৃত্বে কয়েকটি মোটরসাইকেল যোগে ২০-২৫ জন অস্ত্রধারী শিবপুর গ্রামে এসে জুঁই এগ্রো ফার্ম, সাগরের চা দোকান, বিএনপি নেতা মহি উদ্দিনের বাড়িসহ ৭-৮টি বাড়ির বাউন্ডারি গেট ও ভেতরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এ সময় হামলাকারীরা সাগরের দোকানে লুটপাট চালায়। খবর পেয়ে রাতে সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।নোয়ান্নই ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মহিন উদ্দিন বলেন, মামুনকে অপহরণের পর তিনিসহ লোকজন গিয়ে উদ্ধার করে আনার কারণে আরজু ও শুভলরা সন্ত্রাসীদের নিয়ে তার বসতঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এ বিষয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাহমুদুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, সোমবার দুপুরে আমি ক্ষতিগ্রস্ত ঘরগুলো দেখে এসেছি। এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সহযোগিতার ব্যবস্থা করা হবে। উভয় পক্ষ আমাদের দলের লোক। সবাইকে শান্ত থাকার জন্য বলা হয়েছে।সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে কেউ আমাদের অবগত করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।