টঙ্গীবাড়িতে ঔষধ খাওয়ার ২ মিনিটের মধ্যে মারা যাওয়া দুই গরু নিয়ে হতাশায় খামারি


মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়িতে ওষুধ খাওয়ানোর দুই মিনিটে দুই ষাড়‌ গরু হারিয়ে হতাশায়  রয়েছেন খামারি। টঙ্গীবাড়ি থানায় অভিযোগ করলেও ভুক্তভোগী খামারি বলেন এখনো কোনো প্রতিকার পাইনি। প্রতিকার পাওয়া নিয়ে হতাশায় ভুগছি।মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার পয়সাগাও গ্রামেরভুক্তভোগী খামারি সোলাইমান বলেন, এক বছর আগে চারটি ষাঁড় গরু কিনে লালন পালন করে আসছিলাম । সামনের কুরবানীর ঈদে গরুগুলো বিক্রি করতাম। গরুগুলোর মুখের রুচি বাড়ানোর জন্য এক চিকিৎসকের পরামর্শে আমি কামারখাড়া বাজারের জুয়েল ফার্মেসীতে লিভারটনিক ঔষধ কিনতে যাই। এ সময় ওই ফার্মেসীর মালিক রুহুল আমিন জুয়েল আমাকে  লিভারটনিক না দিয়ে অন্য একটি ওষুধ দেয়।‌ আমি এ সময় তাকে বলি এগুলো তো লিভারটনিক ওষুধ না আমাকে কি ওষুধ দিলেন। তিনি তখন বলেন এগুলো লিভারটনিক ওষুধের আপডেট ভার্সন। লিভারটনিকের চেয়ে এটা ভালো কাজ করবে। এগুলো ভালো ওষুধ নিয়ে যান। তখন আমি ওষুধগুলো নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসি। পরে গত ২২ মার্চ সকাল আটটার দিকে ওষুধ খাওয়ানের ২ মিনিটের মধ্যে আমার ২টি গরু মারা যায়। আমার মারা যাওয়া গরুগুলোর দাম কমপক্ষে ৩ লাখ টাকা হবে। আমি কান্নাকাটি কইরা জুয়েল ডাক্তারের কাছে যাই। পরে তার কাছে আমি পাত্তা না‌ পেয়ে টঙ্গীবাড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করলে টঙ্গীবাড়ি পশু হাসপাতাল থেকে ডাক্তার এসে আমার মরা গরুর হতে কলিজাসহ বেশ কিছু মাংসের স্যাম্পল নিয়ে যায়  এবং জুয়েল ডাক্তার যে ওষুধ দিয়েছিল ওই  ঔষধের স্যাম্পল নিয়ে যায় । আমিও কিছু সাম্পল ও ওষুধ আমার  ফ্রিজে রেখে দিয়েছি।এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ডাক্তার রুহুল আমিন জুয়েল বলেন, ওই খামারি যে ওষুধ চেয়েছে আমি তাকে সেই ওষুধই দিয়েছি । দেখা গেছে একটি ভেষজ ওষুধ নিতে হলে তার দাম অনেক বেশি। তাই কম দামে সে আমার কাজ হতে ঔই ওষুধই নিয়েছে। টঙ্গীবাড়ি পশু সম্পদ কার্যালয়ের ব্যাটালিয়ন সার্জন কালি শঙ্কর পাল বলেন‌, আমরা ওই মৃত গরুগুলোর সেম্পল ইতিমধ্যে সংগ্রহ করেছি। এটা ময়নাতদন্তে পাঠানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। এটা নিয়ম অনুসারে একজন পুলিশের উপ- পরিদর্শক ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যাবেন । আমি স্যাম্পলটা তৈরি করছি।এ ব্যাপারে টঙ্গীবাদী থানার দিঘীরপাড় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই রমজান বলেন,অভিযোগ পেয়েছি। ইতিমধ্যে নিহত গরুগুলো হতে সেম্পল সংগ্রহ করা হয়েছে। স্যাম্পলগুলো ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হবে। প্রতিবেদনের আলোকে  যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।