ট্রাকের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে প্রাণ গেল চালকের সহকারীর


রাজধানীর মুগদায় সিএনজি ফিলিং স্টেশনে গ্যাস ভরার সময় বিকট শব্দে ট্রাকের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে ট্রাকচালকের সহকারী সাদ্দাম হোসেন তালুকদার মারা গেছেন। বিস্ফোরণে তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশ ছিন্নভিন্ন হয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। আজ মঙ্গলবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। এতে ওই ট্রাকের শ্রমিক হিমেল মিয়াও আহত হয়েছেন। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ট্রাকটি ভাটারা এলাকায় ইট নামিয়ে সায়েদাবাদে যাচ্ছিল। পথে মুগদার বেস্ট ইস্টার্ন সিএনজি ফিলিং স্টেশনে গ্যাস নেওয়ার জন্য থামে। এ সময় চালকের সহকারী সাদ্দাম সিলিন্ডারের পাশেই ছিলেন। চালক ফিরোজ বসা ছিলেন ট্রাকে। ফিলিং স্টেশনের কর্মচারী (নজেলম্যান) ঘটনাস্থল থেকে দূরে ছিলেন। হঠাৎ সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে সাদ্দামের এক হাত ও মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মাথা ঘটনাস্থল থেকে ৫০ ফুট দূরে গিয়ে পড়ে। বিস্ফোরণে ফিলিং স্টেশনের কেনোপি (এক ধরনের ছাদ) ভেঙে গেছে। ঘটনাস্থলের কাছাকাছি থাকায় ট্রাক শ্রমিক হিমেল আহত হন। তাঁকে মুগদা হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। বিস্ফোরণের পরপর চালক ফিরোজ পালিয়ে যান। সাদ্দামের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়। ফিলিং স্টেশনের জেনারেল ম্যানেজার মহেষ রায় বলেন, ঘটনার সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন না। তবে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখেছেন ৪টা ৫০ মিনিটে গ্যাস নেওয়া শেষ হয়েছে। এর পর চালকের সহকারী সাদ্দাম ফিলিং স্টেশন থেকে বালতিতে পানি নিয়ে পরিষ্কার করার জন্য ট্রাকের দিকে যান। মহেষ রায় বলেন, গ্যাস নেওয়ার পরও সিলিন্ডার গরম থাকে। ধারণা করা হচ্ছে, সিলিন্ডারে পানি দেওয়ার কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে। তবে পুলিশ বলছে, গ্যাস নেওয়ার শেষ পর্যায়ে সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়েছে। মুগদা থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীর বলেন, সিলিন্ডারটি মেয়াদোত্তীর্ণ কিনা তা পরীক্ষা করে দেখার আগে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। সাদ্দামের চাচাতো ভাই মামুন তালুকদার জানান, সাদ্দামের গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরে। দুই ভাইয়ের মধ্যে সাদ্দাম ছোট। ৩ বছর আগে ঢাকায় এসে ট্রাকচালকের সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন।