ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মামলা
অনলাইন নিউজ ডেক্স

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা ট্রাম্প প্রশাসনের ৯ বিলিয়ন ডলারের সরকারি অনুদান ও চুক্তি পর্যালোচনার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কথিত ‘ইহুদিবিদ্বেষ’ দমন অভিযানের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে।শুক্রবার বোস্টনের একটি ফেডারেল আদালতে দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন অবৈধভাবে একাডেমিক স্বাধীনতা ও বাক্স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করছে। মামলাটি করেছে হার্ভার্ডের আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অফ ইউনিভার্সিটি প্রফেসরস (এএইউপি)-এর স্থানীয় ও জাতীয় শাখা।যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ—যারা আদালতে প্রশাসনের পক্ষ সমর্থন করছে—শনিবার কোনো মন্তব্য করেনি। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ও এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।হার্ভার্ডে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ ও প্রশাসনের চাপফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে হার্ভার্ড ক্যাম্পাসে মুখোশ পরিহিত আন্দোলনকারীদের উপস্থিতি প্রশাসনের নজরে আসে। পরবর্তী এক চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো হার্ভার্ডকে কয়েকটি শর্ত পূরণের নির্দেশ দেয়—যার মধ্যে ছিল মুখোশ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা, ডাইভার্সিটি, ইকুইটি অ্যান্ড ইনক্লুশন (ডিইআই) প্রোগ্রাম বাতিল এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করা।চিঠিতে আরও বলা হয়, হার্ভার্ডের বিভিন্ন বিভাগ ও কার্যক্রম—যেগুলো ‘ইহুদিবিদ্বেষমূলক হয়রানি’ বাড়িয়ে তোলে—সেগুলো পুনর্মূল্যায়ন ও সংস্কার করতে হবে এবং নীতিভঙ্গকারী শিক্ষার্থীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।প্রশাসন বলছে, তারা ১৯৬৪ সালের সিভিল রাইটস অ্যাক্টের শিরোনাম ধারা অনুযায়ী এসব পদক্ষেপ নিচ্ছে, যা সরকারিভাবে অর্থায়নপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানে বৈষম্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ দেয়।মামলার অভিযোগ: বাকস্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপতবে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, প্রশাসন আইন অনুযায়ী প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে অর্থ বন্ধের হুমকি দিয়েছে এবং এটি যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনীতে সুরক্ষিত বাক্স্বাধীনতার লঙ্ঘন।মামলার বাদী পক্ষ দাবি করছে, ট্রাম্প প্রশাসন রাজনৈতিক মতাদর্শ ও নীতিগত পছন্দ হার্ভার্ডের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে এবং এমন বক্তব্যকে দমন করতে চাইছে যা তাদের অপছন্দ।হার্ভার্ডের আইন বিভাগের অধ্যাপক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের এএইউপি অধ্যায়ের সাধারণ পরামর্শদাতা অ্যান্ড্রু ক্রেসপো এক বিবৃতিতে বলেন, প্রথম সংশোধনী সরকারকে সেই ক্ষমতা দেয় না, যাতে তারা নিজের অফিসের প্রভাব ব্যবহার করে সমালোচকদের কণ্ঠরোধ করে বা অপছন্দের বক্তব্য দমন করে।
