দণ্ডিত পাকুন্দিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান রেনু কারাগারে


দুই কোটি পাঁচ লাখ টাকার ব্যাংক ঋণ মওকুফে প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টার স্বাক্ষর জালের মামলায় দণ্ডিত কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনুকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিব তাকে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন। এদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তার আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন কোয়েল এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, একটি ভুয়া মামলায় তাকে সাজা দেওয়া হয়েছিল। আজ সেই মামলায় তিনি আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ মামলায় আমরা আপিল করব। এর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিবের আদালত এ মামলায় দণ্ডবিধির ৪৬৮ ধারায় উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনুকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই হাজার টাকা জরিমানা; অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। পরে গত ৪ জানুয়ারি সাজাপ্রাপ্ত হিসেবে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়, মেসার্স এলিট আয়রন অ্যান্ড স্টিল জিপি শিট লিমিটেডের কাছে ঋণের দুই কোটি পাঁচ লাখ টাকা পায় উত্তরা ব্যাংক। পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেনু ওই ঋণ মওকুফ করে দেওয়ার কথা বলে কোম্পানিটির কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকা নেন। এরপর তিনি প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমানের বরাতে তার স্বাক্ষর জাল করে ঋণ মওকুফের ব্যবস্থা নিতে উত্তরা ব্যাংকের এমডি বরাবর একটি চিঠি ইস্যু করেন। চিঠিতে ড. মশিউর রহমানের স্থলে ডা. মশিউর রহমান লেখায় উত্তরা ব্যাংকের এমডির সন্দেহ হয়। তিনি চিঠিটি যাচাইয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠান। সেখানে প্রমাণিত হয় ওই চিঠি ড. মশিউর রহমান ইস্যু করেননি। এ ঘটনায় সহকারী পুলিশ সুপার ফজলুল করিম ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল বংশাল থানায় একটি মামলা করেন। পরে ২০১৩ সালের ৬ অক্টোবর চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনুসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। মামলার অপর আসামিরা হলেন- মেসার্স এলিট আয়রন অ্যান্ড স্টিল জিপি শিট লিমিডেট পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন, চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক তোফাজ্জল হোসেন, পরিচালক আমজাদ হোসেন ও মনোয়ার হোসেন। ২০১৫ সালের ১১ জুন মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে অপর আসামিদের অব্যাহতি দেন আদালত।