দেশের শেয়ার বাজারে নতুন করে দরপতনের ঘটনা ঘটেছে, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি করেছে। দুই কার্যদিবস ধরে ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর গতকাল বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) উভয় বাজারে প্রবল পতন লক্ষ্য করা গেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিস্থিতি
গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭১ পয়েন্ট কমে ৫,১৬৯ পয়েন্টে নেমে এসেছে। বাজার বিশ্লেষকরা জানান, গতকাল মোট ৫২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বৃদ্ধি পেলেও ৩০৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। অন্যদিকে ৪১টি কোম্পানির শেয়ার মূল্য অপরিবর্তিত রয়েছে। ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩২১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা, যা আগের কার্যদিবসে ৩৫৮ কোটি ২২ লাখ টাকায় ছিল। এভাবে লেনদেনের পরিমাণ ৩৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা কমে গেছে।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের অবস্থা
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) পরিস্থিতিও উল্লেখযোগ্যভাবে খারাপ। সিএসইতে গতকাল ১৯৪টি কোম্পানির মধ্যে ৩৮টির দাম বেড়েছে, তবে ১৩১টির দাম কমেছে এবং ২৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এর ফলে সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই ১২১ পয়েন্ট কমে গেছে। সিএসইতে গতকাল মোট লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ১২ লাখ টাকা, যা আগের কার্যদিবসে ১৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকায় ছিল।
বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা
বাজার বিশ্লেষকরা মনে করেন, দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থাহীনতা বেড়ে গেছে। এছাড়া পুঁজিবাজারে বিভিন্ন অনিয়ম ও কারসাজির কারণে বিনিয়োগকারীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন। এই পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যায় পড়ছেন, যার ফলে বাজারে চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সামনের চ্যালেঞ্জ
শেয়ার বাজারের এই পরিস্থিতি দেশের অর্থনীতির জন্য উদ্বেগজনক। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরানো, অনিয়ম ও কারসাজির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা কমানো খুবই জরুরি। সরকারের নীতিনির্ধারক এবং অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের উচিত দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা, যাতে শেয়ার বাজার পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।