পঁচাত্তরেও তিনি ‘স্বপ্নচারিণী’


১৯৬৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘সপনো কা সওদাগর’ ছবি দিয়ে অভিনয় জীবনের শুরু। প্রথম হিন্দি ছবি ‘সপনো কা সওদাগর’ এ অভিনয় করেছিলেন রাজ কাপুরের বিপরীতে। সেই ছবির পোস্টারে ‘ড্রিম গার্ল’ খেতাব পান। সেই থেকে এখনো তিনি বলিউডের ‘স্বপ্নচারিণী’। অভিনয় করেছেন অসংখ্য ছবিতে। বলছি বলিউড অভিনেত্রী হেমা মালিনীর কথা। বয়স এখন ৭৫ হলেও ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের বিখ্যাত শহর মথুরার এ সংসদ সদস্যকে এখনো স্বচ্ছন্দে মধ্য পঞ্চাশের বলে চালিয়ে দেওয়া যায়। রক্ষণশীল তামিল আয়েঙ্গার ব্রাহ্মণ (পরিভাষায় টাম-ব্রাম) পরিবারে জন্ম হেমা মালিনীর। স্কুলে প্রিয় বিষয় ছিল ইতিহাস। তবে ক্লাস ইলেভেনের পর লেখাপড়া হয়ে ওঠেনি। তামিল ছবিতে অভিনয়জীবন শুরু করে দিয়েছিলেন। ১৯৭০ সালে ধর্মেন্দ্র-হেমা জুটির প্রথম ছবি ‘তু হাসিন, ম্যায় জওয়ান’। ছবির সেটেই তাদের পরিচয়। ক্রমে মন দেওয়া-নেওয়া। ধর্মেন্দ্র তখন ঘোরতর বিবাহিত। সন্তানের পিতা। তবুও দুজনের মোহমুগ্ধ হয়ে পড়েন। ১৯৮০ সালে ধর্মেন্দ্রকেই বিয়ে করেন। ভারত সরকার পদ্মশ্রী খেতাব দিয়েছিল ২০০০ সালে। তার তিন বছরের মাথায় তিনি রাজ্যসভার মনোনীত সংসদ সদস্য হন। ২০০৩ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত সেই পদে। ২০১১ সালে এক বছরের জন্য কর্ণাটক থেকে রাজ্যসভায় ছিলেন হেমা। ২০১৪ সালে সরাসরি মথুরা থেকে লোকসভায়। এদিকে লোকসভার সাংসদ হয়ে গোড়ায় বিপাকে পড়েছিলেন। কাজটা কী, সেটাই বুঝতে পারতেন না। প্রথম পাঁচ বছর কেটে গিয়েছিল প্রশাসনের সঙ্গে তাল রেখে সাংসদ তহবিলের টাকা খরচ করা আর হিসেব দেওয়া বুঝতেই। তবে পরের পাঁচ বছর চুটিয়ে কাজ করেছেন। ছবিতে অভিনয় প্রায় ছেড়েই দিয়েছেন। কিন্তু ভরতনাট্যম ছাড়তে পারেননি এখনও। তার কাছে অভিনয়ের আগে নাচ। ভরতনাট্যমই তার প্রথম প্রেম। নাচ না থাকলে অভিনয়ে আসতেন কি না, তা নিয়ে তার নিজেরও সন্দেহ আছে। দুই কন্যাকে পাশে নিয়েও মঞ্চে নেচেছেন তিনি। এদিকে অন্য অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মতো ইনস্টাগ্রামে অহরহ নিজের ‘আপডেট’ দিতে পছন্দ করেন না। তিনি সাবেক ধ্যানধারণায় বিশ্বাসী যে, ভক্তেরা রোজ তাকে দেখলে উৎসাহ কমে যাবে। তবে দুই কন্যা এষা-অহনা তাদের তারকা মাকে ইনস্টাগ্রামে আনার জন্য প্রায় সালিশি সভা বসিয়েছিলেন। অবশেষে হেমা রাজি হন। আপাতত ইনস্টাগ্রামে তার ‘ফলোয়ার’ প্রায় ১০ লাখ। পোস্টের সংখ্যা মাত্র ৬০০ পেরিয়েছে। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা