ফাইনালের স্বপ্ন যুবাদের


২০১৯ সালের নভেম্বরে প্রথমবার ইরানে হয়েছিল জুনিয়র কাবাডি বিশ্বকাপ। অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ কাবাডির ওই আসরে ব্রোঞ্জ জিতেছিল বাংলাদেশ। সেই দলে খেলা উজ্জাপন চাকমা দ্বিতীয় জুনিয়র বিশ্বকাপ কাবাডিতে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। বাকি ১২ জন খেলোয়াড়ই নানা ধাপ পেরিয়ে লাল-সবুজের জার্সি গায়ে জড়িয়েছেন। তারুণ্যনির্ভর এই দলটিকে ঘিরেই এবার আরও বড় স্বপ্ন বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের কর্তাদের। গত আসরকে ছাপিয়ে এবার ফাইনালে খেলার আশা শ্রীনিবাস রেড্ডীর দলের। ২৮ ফেব্রুয়ারি ইরানের উর্মিয়া শহরে শুরু হবে যুব কাবাডি বিশ্বকাপ। এই আসরে অংশ নিতে আজ ঢাকা ছাড়ছে ১৫ সদস্যের বাংলাদেশ দল। গত আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইরান। চার বছর আগের প্রতিযোগিতায় না খেললেও এবার অংশ নিচ্ছে ভারত। তাই বাংলাদেশের লড়াইটা মূলত ভারত ও ইরানের সঙ্গেই। ২০১৯ সালে আফগানিস্তান, চাইনিজ তাইপে ও থাইল্যান্ডকে হারিয়েছিল লাল-সবুজের দলটি। এবার প্রতিযোগিতায় ১৬টি দল চারটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে খেলবে। টুর্নামেন্ট শুরুর আগের দিন ২৭ ফেব্রুয়ারি ম্যানজার্স মিটিংয়ে গ্রুপিং এবং সূচি চূড়ান্ত হবে। শুক্রবার কাবাডি স্টেডিয়াম গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ফেডারেশনের সহসভাপতি হাফিজুর রহমান খান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক হাবিবুর রহমান এবং যুগ্ম সম্পাদক এস এম নেওয়াজ সোহাগ। যুব কাবাডির বর্তমান দলটি উঠে এসেছে আইজিপি কাপ থেকে। দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া আইজিপি কাপের চূড়ান্ত পর্ব থেকে ৫০, আঞ্চলিক পর্ব থেকে ৪, এনএসসির প্রতিভা অন্বেষণ থেকে ১৫ এবং বিকেএসপি থেকে ১৩ জনসহ মোট ৮২ জনকে নিয়ে গত দুই মাস ভারতীয় কোচ শ্রীনিবাস রেড্ডীর অধীনে ক্যাম্প করা হয়। চূড়ান্ত ধাপে ট্রায়াল নিয়ে ১৮ জন বাছাই করা হয়। তাঁদের ১ মাসের ক্যাম্প শেষে চূড়ান্ত করা হয় ১২ জনকে।