বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ঐতিহাসিক গুরুত্ব পৃথিবীতে বিরল: তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত


বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ঐতিহাসিক গুরুত্ব পৃথিবীতে বিরল বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ঐতিহাসিক গুরুত্ব পৃথিবীতে বিরল এবং এ ভাষণের অন্তর্নিহিত সম্বোহনী শক্তির বিকাশ এতই প্রখর ছিল যার ফলে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কো ওই ভাষণকে “Memory of the World International Register, a list of world\'s important documentary heritage” হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করে, যা বাংলাদেশের জন্য বিরল সম্মান বয়ে আনে। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাসেঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরতে গিয়ে ৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত স্বাধীনতার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট উপস্থিত সকলের সামনে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণই ছিল প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। ৭ই মার্চের ভাষণের পরপরই সমগ্র দেশ জুড়ে বাংলার সর্বস্তরের মানুষ সংগঠিত হতে শুরু করে ও স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগদান করে। আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারবর্গ এবং দেশের জন্য প্রাণ উৎসর্গকারী শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করেন রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রাশেদ ইকবাল। এরপর মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত বঙ্গবন্ধুর ৭মার্চের ভাষণের ওপর নির্মিত ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য দেন রাজধানী আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মো. রাশেদ ইকবাল।