‘বজ্রমেঘ’ তৈরি হলেই বৃষ্টির সম্ভাবনা


স্থানীয়ভাবে ‘বজ্রমেঘ’ তৈরি হলে তবেই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ। সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে রাজশাহী। শুক্রবার বিকাল ৩টায় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড তাপমাত্রা করা হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজশাহীজুড়ে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। প্রখর রোদ-গরমে সুস্থ থাকতে মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সাধারণত ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়। তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বলা হয়। এছাড়া ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর উঠলেই তাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বুধবার থেকে রাজশাহীতে তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। এদিন রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার ছিল ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার বিকাল ৩টায় রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১ এপ্রিলের পর রাজশাহীতে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ শুরু হয়। তবে গত দুই দিন থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ তীব্র তাপপ্রবাহে রূপ নিয়েছে। এতে মানুষের পাশাপাশি পশু-পাখিরাও গরমে হাঁসফাঁস করছে। অচল হয়ে পড়েছে রাজশাহীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বৃষ্টির জন্য চারিদিকে হাহাকার পড়ে গেছে। দুর্বিষহ গরমে খা খা করছে মহানগরীর বিভিন্ন প্রধান সড়ক। রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক গাওসুজ্জামান বলেন, সামান্য বিরতি দিয়ে থার্মোমিটারে তাপমাত্রার পারদ এবার ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে গিয়ে ঠেকেছে। শুক্রবার বিকাল ৩টায় রাজশাহীতে চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল মাত্র ১৭ শতাংশ। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজশাহীতে তাপমাত্রার পারদ এবার ৪১ ডিগ্রি পার হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর আগে গত বছরের ১৭ এপ্রিল রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি ছিল দীর্ঘ ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। আর এর আগে ২০১৪ সালের ২৫ এপ্রিল রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবহাওয়াবিদ রহিদুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়ভাবে যদি ‘বজ্রমেঘ’ তৈরি হয় তাহলেই কেবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা দেখা দেবে। আর যদি এটা স্থানীয়ভাবে তৈরি না হয় তাহলে বৃষ্টিপাত হবে না। আর এখন বৃষ্টি না হলে আপাতত তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশেই থাকবে।