বিএনপি নেতারা চান না খালেদা জিয়া মুক্তি পাক: তথ্যমন্ত্রী


খালেদা জিয়া কারাগার থেকে মুক্তি পাক, এটা বিএনপি নেতারা চান না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, আসলে বিএনপি নেতারা চান না খালেদা জিয়া কারাগার থেকে মুক্তি পাক। কারণ এটি যদি চাইতো, তাহলে তারা আদালতে গিয়ে বড় বড় আইনজীবী দিয়ে মামলায় লড়তো। তারা কিন্তু মামলা লড়ে না। খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবদের মাতব্বরিটা আর থাকে না, সে জন্য উনারা চান না যে খালেদা জিয়া কারাগার থেকে মুক্তি পাক। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতির পিতার ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বিশেষ শিশুদের মধ্যে হুইল চেয়ার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা কিছুদিন আগে বলেছিলেন- খালেদা জিয়া এমন অসুস্থ যে উনাকে যদি বিদেশ নেওয়া না হয় উনি মারা যাবেন। তাদের কথায় মনে হচ্ছিল, তারা চাচ্ছিল খালেদা জিয়া মারা যাক। কিন্তু উনি (খালেদা জিয়া) বাংলাদেশের চিকিৎসকদের চিকিৎসায় ভালো হয়ে গেলেন। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবদের বক্তব্য শুনলে মনে হবে- দেশে গত ১৪ বছরে কিছু হয়নি। অথচ তারা পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে গিয়ে জনসভা করে আর বলে দেশে কিছু হয়নি। ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে গিয়ে বলে দেশে কিছু হয়নি। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ফখরুল সাহেবদের বলি একটু পেছন ফিরে তাকান। আপনারা দেশকে কী উপহার দিয়েছিলেন, দুর্নীতিতে পরপর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন। পাঁচশ’ জায়গায় একযোগে বোমা, শায়খ আব্দুর রহমান আর বাংলা ভাই। আর হাওয়া ভবন বানিয়ে সমান্তরাল সরকার পরিচালনা করেছেন। আমোদ ফূর্তি করার জন্য আবার খোয়াব ভবনও বানিয়েছিলেন। আর আপনারা সারাদেশে খাম্বা লাগিয়েছিলেন, বিদ্যুৎ দিতে পারেননি। শেখ হাসিনা আজ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ শিশুদের মধ্যে হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়। সেতুমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে মির্জা ফখরুলের দেওয়া বিবৃতির প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমগ্র দেশে সড়কের যে উন্নয়ন হয়েছে, সেই মন্ত্রণালয় হচ্ছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, যার মন্ত্রী আমাদের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতু সেই মন্ত্রণালয়ের অধীনেই বাস্তবায়িত হয়েছে। কর্ণফুলী টানেল, মেট্রোরেলও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে হয়েছে। তিনি একজন সফল মন্ত্রী। বিএনপি এখন তার পদত্যাগ দাবি করে। আসলে মির্জা ফখরুল সাহেবের পদত্যাগ করা উচিত। মন্ত্রী বলেন, এখন কোনো ইস্যু নেই। খালেদা জিয়ার অসুস্থতার ইস্যু হালে পানি পায়নি। ১০ ডিসেম্বর বড় একটা ডিম পেড়েছিল। তাদের আন্দোলনে তাদের নেতারা, কর্মীরাও সাড়া দেয়নি। এখন কোনো ইস্যু নাই, এখন রোড এক্সিডেন্টের মধ্যে গেছে। ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য বেনজির আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য আব্দুল বাতেন মিয়া ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণসহ আরও অনেকে।