মুক্তিযুদ্ধে পাকসেনাদের গুলিতে শহীদ হন মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের তিন বোন
অনলাইন নিউজ ডেক্স
১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসের শুরুতেই মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের ভাগ্যকুল ইউনিয়নের উত্তর কামারগাঁও গ্রামের তিন বোন আছমা আক্তার, নাজমা বেগম ও ফাতেমা আক্তারকে পাকবাহিনী গুলি করে নির্মাম ভাবে হত্যা করে। মুক্তিযুদ্ধের সময় এই তিন বোনের অপরাধ ছিল, তাদের ভাই মোজাহেরুল হক চট্রগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের তৎকালীন ছাত্র সংসদের জিএস ও ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ছিলেন। সে সময় লাল-সবুজের পতাকা জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐহিহাসিক ৭ মার্চের ভাষনের পর পাক সেনাদের বিরুদ্ধে তৎপরতা ও মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার তথ্য পায় পাক বাহিনী। পিতা মরহুম শামছুল হকের চাকুরী সূত্রে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের উত্তর কামারগাঁও গ্রামের আছমা আক্তার, নাজমা বেগম ও ফাতেমা আক্তার ও ভাই মোজাহেরুল হকসহ তাদের পবিার মুক্তিযুদ্ধের সময় চট্রগ্রামে বসবাস করতো।ডক্টর মোজাহেরুল হক জানিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন এবং ছাত্রলীগের নেতৃত্বে থেকে চট্র্রগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রদের ঐক্যবদ্ধ করার তৎপরতা তথ্য জানতে পেরে ১৯৭১ সালের ৩ এপ্রিল রাতে চট্রগ্রাম শহরের বাসভবনে হানা দেয় পাকবাহিনী। এ সময় পাক সেনারা তাকে না পেয়ে আছমা আক্তার, নাজমা বেগম ও ফাতেমা আক্তারকে গুলি করে নির্মম ভাবে হত্যা করে। ওই সময় বাসায় থাকা পরিবারের অপর সদস্যরাও আহত হয়। তিনি জানান, মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের ভাগ্যকুল হরেন্দ্রলাল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে তার পিতা শামছুল হক সে সময় মুসলিম ছাত্রদের মধ্যে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে প্রথমস্থান অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি বৃটিশ আর্মিতে যোগদান করেছিলেন। এরপর থেকে পরিবারসহ তারা চট্রগ্রাম শহরে বসবাস করছিলেন।সুলতান আরিফ নামের এক যুবক জানান, ১৯৭১ সালের ৩ এপ্রিল পাকসেনাদের হাতে নিহত মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া তিন বোনের ছবি সম্প্রতি তাদের ভাই তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা ডক্টর মোজোহেরুল হক মুন্সীগঞ্জ জাদুঘরে সংরক্ষনের জন্য দিয়েছেন। বর্তমানে শহীদ তিন বোনের ছবি সেখানে সংরিক্ষত আছে বলে জানা গেছে।
