মুশফিকের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে রেকর্ড রান টাইগারদের


শুরুটা ধীরে হলেও শেষটা হয়েছে ঝড়ে। যে ঝড়ে দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড এক ম্যাচ পরেই ভেঙেছে বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিম দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করেছেন। টপ অর্ডারের লিটন দাস ও নাজমুল শান্ত ফিফটি করেছেন। দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নামা তাওহীদ হৃদয় ফিফটি মিস করলেও রেকর্ড রানের মোমেন্টাম দিয়েছেন। তাদের ব্যাটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ৩৪৯ রানের সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৯ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ফরম্যাটে নিজেদের সর্বোচ্চ ৩৩৩ রান করেছিল বাংলাদেশ। সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ওই রেকর্ড ভেঙে ৩৩৮ রান তোলে টাইগাররা। একদিন পরে ওই সিলেটে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে দলীয় সর্বোচ্চ রানের নতুন কীর্তি গড়লো লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। সোমবার টস হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। প্রথম পাঁচ ওভারে তুলতে পারে মাত্র ১৪ রান। ১০ ওভারে ৪২ রানে হারায় প্রথম উইকেট। ওপেনার তামিম ইকবাল ৩১ বলে চারটি চারে সেট হয়ে ২৩ রান করে আউট হন। এরপর লিটন দাস ও নাজমুল শান্ত ১০১ রানের জুটি গড়েন। ওই জুটি ভাঙে লিটন দাস ৭১ বলে তিন করে চার ও ছক্কায় ৭০ রান করলে। তার সঙ্গে দারুণ ব্যাটিং করা নাজমুল শান্তও এরপর আউট হন। তার ব্যাট থেকে আসে ৭৭ বলে ৭৩ রান। তিনি তিনটি চার ও দুটি ছক্কা মারেন। এরপর শুরু হয় মুশফিক ও তাওহীদ হৃদয়ের ঝড়ো জুটি। তারা দু’জন ১২৮ রান যোগ করেন। অভিষেক ওয়ানডে ম্যাচে সেঞ্চুরি মিস করা হৃদয় দ্বিতীয় ম্যাচে মিস করেছেন ফিফটি। তিনি ৩৪ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় ৪৯ বলে আউট হন। তবে অন্য প্রান্তে ঝড় তোলা মুশফিক ছিলেন অবিচল। তিনি ৩৪তম ওভারে ক্রিজে এসে ৬০ বলের মুখোমুখি হয়ে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। ইনিংসের শেষ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের নবম শতকের (১০০*) ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন এই ডানহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটার। তার আগে ফিফটি করে ক্যারিয়ারের সাত হাজার ওয়ানডে রানের কীর্তি গড়েছেন। টাইগারদের ঝড়ে হাত খুলে রান দিয়েছেন আয়ারল্যান্ডের বোলাররা। মার্ক এডায়ার ১০ ওভারে ৬০ রান দিয়ে এক উইকেট নিয়েছেন। গ্রাহাম হিউম ১০ ওভারে ৫৮ রান দিয়ে নিয়েছেন তিন উইকেট। গ্রাহাম কাম্পার ১০ ওভারে ৭৩ রান খরচা করে এক উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া স্পিনার হামফ্রাইস, টেক্টর ও ম্যাকব্রিনি ওভারপ্রতি অন্তত সাত করে রান দিয়েছেন।