রাশিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করলেও লঞ্চার দেয়নি ইরান


ইরান রাশিয়াকে স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করলেও এর সঙ্গে কোনো লঞ্চার দেয়নি। যা এখন ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য পরিকল্পনার অংশ বলে জানিয়েছে রয়টার্স। শনিবার তিনটি সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থাটি। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র গত সপ্তাহে ইরানের বিরুদ্ধে রাশিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর অভিযোগ এনেছিল। তবে এর সঙ্গে লঞ্চার না দেওয়ার বিষয়টি আলোচনার এখন কেন্দ্রবিন্দুতে। একজন ইউরোপীয় কূটনীতিক, একজন ইউরোপীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তা এবং একজন মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, কেন ইরান ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গে লঞ্চার সরবরাহ করেনি, তা স্পষ্ট নয়। তবে তারা বলছেন, এটি ইরানের ভবিষ্যতের কূটনৈতিক আলোচনার জন্য একটি সুযোগ তৈরি করতে পারে। রয়টার্সই প্রথম এ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের পরিকল্পনার কথা বিশ্বের সামনে আনে। তবে পশ্চিমা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাশিয়া নিজস্ব সামরিক যানবাহন পরিবর্তন করে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করতে পারে, যেটি ইরানও করে থাকে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন গত ১০ সেপ্টেম্বর জানিয়েছিলেন, ইরান রাশিয়াকে Fath-360 ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে এবং তা কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ইউক্রেনে ব্যবহৃত হতে পারে। এ ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে, যেহেতু এটি অত্যন্ত দ্রুত গতিতে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। তবে ইরান বরাবরই এ ধরনের অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে এবং রাশিয়া দাবি করেছে, তারা কেবল কৌশলগত সহযোগিতা আদান-প্রদান করছে। পশ্চিমা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরানের এ পদক্ষেপটি ভবিষ্যৎ কূটনৈতিক আলোচনার জন্য একটি কৌশল হতে পারে। বিশেষ করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সময় ইরান এবং ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের আলোচনার সুযোগ রয়েছে।