র্যাব হেফাজতে জেসমিনের মৃত্যুর পর মামলা আইনের অপব্যবহার: আইনমন্ত্রী
অনলাইন নিউজ ডেক্স
যুগ্ম সচিব এনামুল হকের মৌখিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নওগাঁর ভূমি অফিসের কর্মী সুলতানা জেসমিনকে র্যাব তুলে নেওয়ার পর তাদেরই হেফাজতে তার মৃত্যুর ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
ওই নারীকে তুলে নেওয়া, র্যাব হেফাজতে মৃত্যু ও মামলার প্রক্রিয়া নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান আইনমন্ত্রী।
গত ২২ মার্চ রাজশাহীর বিভাগীয় স্থানীয় সরকার পরিচালক এনামুল হককে সঙ্গে নিয়ে নওগাঁর মুক্তির মোড় এলাকা থেকে ভূমি অফিসের কর্মচারী জেসমিনকে তুলে নেয় র্যাব। ওইদিনই রাত সাড়ে ৯টায় জেসমিনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসে র্যাব। ২৪ মার্চ সকাল ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ২৩ মার্চ বিকেলে রাজপাড়া থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রতারণার মামলা করেন এনামুল হক।
এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, নওগাঁর ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের কথা যদি বলেন, তাহলে একটা কথা পরিষ্কার করে বলি, সেটা হচ্ছে যে এই ভদ্রমহিলাকে যখন তুলে নেওয়া, তখন কিন্তু তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মামলা ছিল না।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ভদ্রমহিলার অবশ্যই দুর্ভাগ্য ও ট্র্যাজেডি যে তিনি যখন মারা যান তখনও কিন্তু মামলা ছিল না। মামলা হয়েছে তারপর দিন। তাহলে ডিজিটাল সিকিউরিটি সিকিউরিটি অ্যাক্টের এখানে অপব্যবহার করা হয়েছে এবং মামলায় কোনো প্রসিড করা হয়নি।
এনামুল হক মামলার এজাহারে অভিযোগ করেন, জেসমিন তার নামে ফেসবুকে একটি আইডি খুলেছিলেন। সেই আইডি দিয়ে তিনি প্রতারণা করছিলেন। তবে এই আইডি ভূমি কর্মচারী জেসমিনই খুলেছে কি না সে বিষয়ে পুলিশের কাছে কোনো তথ্য ছিল না।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।