প্রকাশিতঃ সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪
৬:২৪ পূর্বাহ্ণ

আন্তর্জাতিক

টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।  এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*।  ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে।  আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫।  এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে।  রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের  অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি:  উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।  বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে।

টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*। ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে। আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫। এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে। রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি: উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে।

আরও খবর

সুইফটের সমর্থন কি নির্বাচনের শেষ খেলা বদলে দেবে


সুইফটের সমর্থন কি নির্বাচনের শেষ খেলা বদলে দেবে
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী টেইলর সুইফট বহু জল্পনা-কল্পনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে জোরালো সমর্থন দিয়েছেন। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এতে কমলার ভাগ্য আরও সুপ্রসন্ন হতে পারে। তাঁর ভোটের বাক্স ভরে দিতে ভূমিকা রাখতে পারেন সুইফটের ভক্তরা। খবর এবিসি নিউজের।গত মঙ্গলবার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কমলার বিতর্ক শেষ হওয়ার পরপরই সুইফট তাঁর ২৮ কোটি ইনস্টাগ্রাম অনুসারীদের স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, তিনি ডেমোক্র্যাট প্রার্থীকে ভোট দেবেন। পপ সুপারস্টার এবারের ভোট নিয়ে কী পরিকল্পনা করেছেন, তা জানার জন্য তাঁর ভক্তরা তো বটেই এমনকি শত্রুরাও মুখিয়ে ছিলেন। বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সরে দাঁড়ানোর পর গত জুলাইয়ে কমলার পক্ষে সেলিব্রিটি অনুমোদনের তরঙ্গ এসেছিল। তখন ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসেন সুইফট।বুধবার পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে, ৩১ শতাংশ রিপাবলিকানসহ ৫৩ শতাংশেরও বেশি আমেরিকান মনে করেন, সুইফটের অনুমোদন কমলাকে সাহায্য করবে।রাজনৈতিক অনুমোদনের ক্ষেত্রে সেলিব্রিটি এবং প্রভাবশালীদের খুবই সতর্ক থাকতে হয়। কারণ, এ ক্ষেত্রে তাদের কিছু ভক্ত দূরে সরে যেতে পারেন। এ ধরনের ঝুঁকি নিতে চান না বেশির ভাগ সেলিব্রিটি।তবে সুইফট অতীতে যত রাজনৈতিক সমর্থন প্রকাশ করেছেন, তার সবই ডেমোক্র্যাটদের জন্য। তাই এটি তাঁর জন্য নতুন ব্যাপার নয়। এ ছাড়া তাঁর বেশির ভাগ ভক্ত সম্ভবত ইতোমধ্যেই ডেমোক্রেটিক পার্টির দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে চেঞ্জ রিসার্চ নামের এক প্রতিষ্ঠানের জরিপে দেখা গেছে, ৬২ শতাংশ ডেমোক্র্যাট, মাত্র ১৭ শতাংশ রিপাবলিকান এবং ২৯ শতাংশ স্বতন্ত্র সুইফটের ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন।গবেষণা প্রচুর প্রমাণ মিলেছে, সেলিব্রিটিদের সমর্থন নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ। মনস্তাত্ত্বিকভাবে তাদের অনুমোদন সমর্থকদের ক্ষেত্রে শর্টকার্ট হিসেবে কাজ করে। অনেক ভোটার নীতি বা প্রার্থীদের নিয়ে গভীরভাবে গবেষণা করার পরিবর্তে সমর্থনকারীর বিশ্বাসযোগ্যতা এবং মূল্যবোধের ওপর নির্ভর করে সহজেই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।এর জন্য কিছু নজিরও রয়েছে। যেমন ‘অপরাহ ইফেক্ট’-এর রাজনৈতিক প্রভাব। একটি জরিপ অনুসারে, টিভি ব্যক্তিত্ব অপরাহ উইনফ্রে ২০০৮ সালে তৎকালীন প্রার্থী বারাক ওবামাকে সমর্থন দেওয়ায় ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রাইমারিতে আনুমানিক অতিরিক্ত ১০ লাখ ভোট পেয়েছেন।