সোহানুর রহমানের মৃত্যুর পর যে ক্ষোভ ঝাড়লেন শাবনূর


ঢালিউডের বরেণ্য পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান বুধবার সন্ধ্যায় মারা গেছেন। তার মৃত্যুতে অভিনয়শিল্পী এবং পরিচালক-প্রযোজকসহ সংশ্লিষ্টরা শোক প্রকাশ করেছেন। শোক ছুঁয়েছে একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূরকেও। তার মৃত্যুতে এ নায়িকা সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে শোক প্রকাশ করেছেন প্রিয় নির্মাতাকে নিয়ে। জানিয়েছেন—সোহানুর রহমান সোহান মৃত্যুর আগে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে গেলেন তাকে। শাবনূরের দাবির সূত্রে একটি বিষয় পরিষ্কার করা প্রয়োজন। কদিন আগেই অমর নায়ক সালমান শাহর মৃত্যুবার্ষিকী ছিল। ওই উপলক্ষে একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাবনূরকে জড়িয়ে কিছু মন্তব্য করেন সোহান। সেটাকেই ‘মিথ্যা’ দাবি করেছেন নায়িকা। শাবনূর পরিচালকের একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন— ‘আহা জীবন! অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বলতে হচ্ছে যে, বরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান আর আমাদের মাঝে নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বলা দরকার— গতকাল সোহানুর রহমান সোহানের স্ত্রীও স্ট্রোক করে মারা গেছেন।’ তিনি লেখেন— সোহান আঙ্কেল যাওয়ার আগে আমার বিরুদ্ধে মিডিয়াতে কিছু উলটা-পালটা ও মিথ্যা অপবাদ দিয়ে গেলেন। আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন ও আমার সম্মানহানি করে গেলেন। অনেকেই তার কটু কথার বিরুদ্ধে পালটা জবাব দিতে বলেছিলেন। আমি চাইলেই মিডিয়াতে তার এই মিথ্যা অপবাদের প্রতিবাদ করতে পারতাম। এর আগেও উনি কোনো এক ইন্টারভিউতে আমার বিরুদ্ধে এ রকম বাজে মন্তব্য করেছিলেন। তখনো আমি তার অপবাদের বিরুদ্ধে কোনো পালটা জবাব দিইনি।’ এ চিত্রনায়িকা লেখেন— সোহান আঙ্কেল অনেক সিনিয়র, আমার পিতৃতুল্য। আমি কোনো অন্যায় করলে উনি আমাকে শাসন করতে পারতেন। এই তো কিছু দিন আগেও তার সঙ্গে আমার ফোনে আলাপ হয়েছিল। তখন তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম— আঙ্কেল আপনি কি কোনো কারণে আমার ওপর রাগ করে আছেন? আপনি যে আমার বিরুদ্ধে মিডিয়াতে উলটা-পালটা কথা বলতেছেন। তিনি তখন বললেন, তুই আমাদের ইন্ডাস্ট্রির মেয়ে, আমার মেয়ের মতো, তোর ওপর কেন রাগ করতে যাব। আর আমি তো তোর বিরুদ্ধে কোনো বাজে কথা বলিনি। এর পর আমার বিরুদ্ধে গত সপ্তাহে তিনি আবারও মিথ্যা অপবাদ দিয়ে গেলেন। তিনি আরও লেখেন, ‘কিন্তু আমার একটাই দুঃখ— আমি জানতে পারলাম না উনি কেন বা কার চক্রান্তে প্রভাবিত হয়ে আমার পেছনে ওঠে-পড়ে লেগেছিলেন। যাই হোক, আমি সবার উদ্দেশে একটা কথা বলতে চাই— ভাই জীবনটা খুবই ছোট্ট। এত দাঙ্গা-ফ্যাসাদ করে কী লাভ? একে অন্যের বিরুদ্ধে না লেগে আসুন আমরা সবাই মিলেমিশে থাকি। গন্তব্য তো একটাই, সবাইকে এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করতে হবে।’ সবশেষ এ নায়িকা লেখেন— ‘যেহেতু ক্ষমা একটি মহৎ গুণ, তাই আমি উনাকে মাফ করে দিলাম। আমি আঙ্কেল ও তার স্ত্রীর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।’