স্মার্ট বাংলাদেশের নীতিনির্ধারণী সভা


স্মার্ট বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক (এসবিএন) ইক্যুয়াল বাংলাদেশ ক্যাম্পেইন, সাইটসেভারস, এটুআই, আইডিয়া ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম ও ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার সঙ্গে যৌথভাবে ‘পরিবর্তনের ক্ষমতায়ন: স্মার্ট বাংলাদেশে প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তির জন্য ককাসের ভূমিকা’ শিরোনামে নীতিনির্ধারণী সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার ক্রিস্টাল বলরুমে অনুষ্ঠিত ইভেন্টে ২০৪১ সালের মধ্যে জাতীয় স্মার্ট বাংলাদেশ এজেন্ডায় প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে আলোচনার জন্য প্রধান অংশীদাররা একত্র হন। স্মার্ট বাংলাদেশে প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তির জন্য ককাসের ভূমিকা নীতিনির্ধারণী সভা গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট। কারণ, এটি দেশের উচ্চাভিলাষী ২০৪১ ভিশনের জন্য অন্তর্ভুক্তির বিষয় ছিল। বাংলাদেশ স্মার্ট জাতিতে রূপান্তর হওয়ার সঙ্গে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পেছনে না ফেলে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জরুরি। ইভেন্টটি সংশ্লিষ্ট খাতের অংশীদারদের জন্য জাতীয় নীতিমালা ও উন্নয়ন পরিকল্পনায় প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তি একীভূত করার বিষয়ে আলোচনা ও কৌশল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে। ইভেন্টে দুই শতাধিক অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন; যার মধ্যে রাজনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠন (ওপিডি), বেসরকারি সংস্থা (এনজিও), আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা (আইএনজিও) ও সাংবাদিকরা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। ইভেন্টে প্রধান অতিথি ছিলেন মো. আবুল কালাম আজাদ এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সংসদের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম; তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. শামসুল আরেফিন; বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন ও সাইটসেভারসের কান্ট্রি ডিরেক্টর অমৃতা রেজিনা রোজারিও। সভাপতিত্ব করেন এটুআই যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মোল্লা মিজানুর রহমান। নীতি সংলাপের পর তথ্যপূর্ণ উপস্থাপনা ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সেশনের মডারেটর ছিলেন মানিক মাহমুদ, প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট ইনোভেশন এটুআই ও স্মার্ট বাংলাদেশ নেটওয়ার্কের নির্বাহী সদস্য। আলোচ্যসূচিতে প্রতিবন্ধিতা উদ্ভাবন সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ, অর্জন ও স্মার্ট বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্তিমূলক করার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন বক্তারা। সাইটসেভার্স বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মিস অমৃতা রেজিনা রোজারিও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের অর্জনে আমাদের অবশ্যই এই ককাসকে পুনরুজ্জীবিত ও ক্ষমতায়ন করতে হবে। সংসদ সদস্যরা প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক ককাস খাতের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও ভবিষ্যতের প্রয়োজনীয়তা পূরণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করতে পারেন। আইসিটি বিভাগের সচিব মো. শামসুল আরেফিন বলেন, জাতীয় এজেন্ডায় প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তি একীভূত করা শুধু একটি প্রয়োজন নয়; বরং নৈতিক দায়িত্ব। স্মার্ট বাংলাদেশ সবার জন্যই সুফল নিশ্চিত করবে। প্রধান অতিথি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা এমন বাংলাদেশ কল্পনা করছি, যেখানে প্রত্যেক নাগরিক তাদের সক্ষমতা নির্বিশেষে জাতির অগ্রগতি থেকে উপকৃত হতে ও এতে অবদান রাখতে পারবে। আজকের সংলাপটি সেই লক্ষ্য অর্জনের পথে গুরুত্বপূর্ণ।