৩০০ আসনের সীমানা আগের মতোই, আমলে নেওয়া হয়নি জনসংখ্যা


জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সংসদীয় আসনের নতুন সীমানার খসড়া প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই খসড়ায় ৩০০ আসনের সীমানা আগের মতোই বহাল রাখা হয়েছে। তবে সিলেট, সুনামগঞ্জ, ময়মনসিংহ, মাদারীপুর ও কক্সবাজার জেলার ৭টি আসনে প্রশাসনিক পুর্নবিন্যাসকে সমন্বয় করা হয়েছে। এই সীমানার বিষয়ে আগামী ১৯ মার্চের মধ্যে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, আপত্তি, সুপারিশ ও মতামত ইসির কাছে লিখিতভাবে জানানোর সুযোগ রাখা হয়েছে। রোববার ইসি কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সোমবার এই তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। তালিকা প্রকাশের পর নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানিয়েছেন, খসড়া তালিকা নিয়ে আবেদন পাওয়া গেলে ইসি শুনানির আয়োজন করবে। কোন দাবি আপত্তি যৌক্তিক হলে গ্রহণ করা হবে। আগামী জুনের মধ্যে সংসদীয় আসনের সীমানা চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। ইসি কর্মকর্তারা জানান, নতুন সিটি করপোরেশন হওয়ায় ময়মনসিংহ-৪ আসন, নতুন প্রশাসনিক এলাকায় হওয়ায় মাদারীপুর-৩ আসন, সিলেট-১ ও সিলেট-৩, কক্সবাজার-৩ এবং সুনামগঞ্জ-১ ও সুনামগঞ্জ-৩ আসনের পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০২১ সালে সীমানা নির্ধারণ অধ্যাদেশ-১৯৭৬ বাতিল করে সংসদে \'জাতীয় সংসদের নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন\' পাস হয়। এই আইনে প্রশাসনিক সুবিধা, ভৌগলিক অখন্ডতা বজায় রাখার পাশাপাশি সর্বশেষ আদমশুমারী অনুযায়ি জনসংখ্যার যতদূর সম্ভব বাস্তব বন্টনের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ইসির প্রকাশিত এই খসড়া তালিকায় ৩৫টির বেশি আসনে প্রশাসনিকভাবে খন্ডিত রাখা হয়েছে। আমলে নেওয়া হয়নি জনসংখ্যাও। সর্বশেষ আদমশুমারী অনুযায়ী ৭৫টির মত আসনে জনসংখ্যার বড় ব্যবধান রয়েছে। জনসংখ্যার দিক থেকে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন আসনের মধ্যে সাতগুনের বেশি (শতকরা ৮৮ভাগ) ব্যবধান রয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, সর্বোচ্চ ৩০ ভাগ তারতম্য থাকলেও তাকে আন্তর্জাতিক মানদন্ড ধরা হয়ে থাকে। দশম সংসদ নির্বাচনের আগে কাজী রকিব কমিশন ও একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে নূরুল হুদা কমিশনও মন্ত্রী-এমপিদের চাপে পড়ে সীমানা পরিবর্তনে জনসংখ্যার বিষয়টি আমলে নিতে পারেনি। গতকাল তালিকা প্রকাশের পর নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের জানান, ২০১৮ সালে একাদশ সংসদের আগে নির্ধারিত সীমানা অক্ষুন্ন রাখা হয়েছে।