৫০০ রোহিঙ্গার সাক্ষাৎকার নিয়ে দেশে ফিরে যাচ্ছে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল


কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্য থেকে গত সাত দিনে মাত্র ৫০০ জনের সাক্ষাৎকার নিয়ে বুধবার দেশে ফিরে যাচ্ছে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল। বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) সামসু দৌজা জানান, প্রত্যাবাসেনর জন্য মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত মিয়ানমার প্রতিনিধি দল ৫০০ রোহিঙ্গার সাক্ষাৎকার নিয়েছে। তাঁদের পরবর্তী পদেক্ষেপের বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি। বুধবার সকালে নৌপথে প্রতিনিধি দলটির দেশে ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে। গত ১৫ মার্চ স্পিডবোটে নাফ নদ পেরিয়ে ২২ সদস্যের দলটি মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মংডুর আঞ্চলিক পরিচালক অং মাইউ এর নেতৃত্বে কক্সবাজারের টেকনাফ পৌঁছে। সে সময় শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানিয়েছিলেন, মিয়ানমার প্রতিনিধি দল প্রাথমিক অবস্থায় ৪২৯ জন রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে তাঁদের তথ্য যাচাই করবেন। আরআরআরসি কার্যালয় জানায়, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত টেকনাফের জাদিমুড়া ও লেদা ক্যাম্পের ১৬ পরিবারের ৪০ জন রোহিঙ্গার সাক্ষাৎ নেওয়া হয়। এর আগের দিন ২১ পরিবারের ৮৬ জন, গত রোববার ২৬ পরিবারের ৭০ জন, শনিবার ২৩ পরিবারের ৬০ জন, গত শুক্রবার ১৬ পরিবারের ৭০ জন, গত বৃহস্পতিবার ২৩ পরিবারের ৭০ জন এবং গত বুধবার ২৩ পরিবারের ৯০ জন রোহিঙ্গার সাক্ষাৎকার গ্রহণ এবং তথ্য যাচাই করা হয়। সব মিলিয়ে গত সাত দিনে তথ্য যাচাই হয়েছে ১৪৭টি পরিবারের প্রায় ৫০০ জন রোহিঙ্গার। সাক্ষাৎকার দিতে আসা জাদিমুরা রোহিঙ্গা শিবিরের নেতা বজলুল রহমান জানান, প্রতিনিধি দল রোহিঙ্গাদের সবার কাছে প্রায় একই রকমের তথ্য জানতে চায়। সাক্ষাৎকার প্রার্থীর বাড়ি রাখাইনের কোন গ্রামে ছিল, সেখানকার মেম্বার, চেয়ারম্যান কে ছিলেন, সেখানে থাকতে কতজন সন্তান ছিল, বাংলাদেশে আসার পর কতজন ছেলেমেয়ে জন্ম নিয়েছে? রোহিঙ্গারা আর বাংলাদেশে থাকতে চায় না উল্লেখ করে বজলুল রহমান বলেন, আমরা দেশে ফিরে যেতে চাই। কিন্তু এভাবে যেতে আর যাতে মিয়ানমার থেকে আমাদের পালাতে না হয়। এখনই প্রত্যাবাসনের বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে না। আলোচনা হলে আমরা দাবিগুলো তুলে ধরবো। নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনের বিষয়গুলো আমরা আগে থেকেই দাবি জানিয়ে আসছি।