‘আল্লাহ প্রধানমন্ত্রীকে যুগ যুগ বাঁচিয়ে রাখুন’


গৃহহীন ও ভাসমান অবস্থায় অন্যের জমিতে বা বাড়িতে থাকা মানুষগুলোর এবারে ঈদ কেটেছে অন্যবারের চেয়ে আলাদা। নিজের জমি হবে আর সেই জমিতে দুইটি পাকাঘর, রান্না ঘর ও ল্যাট্রিন থাকবে এমনটা কখনই আশা করেননি তারা। তবে তারা স্বপ্ন দেখতেন নিজের একটি ঘরের। তা বাস্তবে রূপ পাওয়ায় তাদের এখন সীমাহীন আনন্দ। এবার প্রধানমন্ত্রীর উপহারে নতুন বাড়িতে ঈদ উদযাপন করেছেন রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের হাতীবান্দা আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পে ৩১টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পে ১১৯টি পরিবারকে জমির দলিলসহ ঘর দেয়া হয়েছে। ঈদের দিন সোমবার বিকাল ৩টায় উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের হাতীবান্দা আশ্রয়ণ প্রকল্প গিয়ে দেখা যায়, নিজ নিজ ঘরে সবাই একত্রে প্রথমবারের মতো ঈদ উদযাপন করছেন তারা। সকাল থেকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আনন্দের সীমা নেই। নতুন ঘরে ঈদ করতে পেরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের শিশুরাও উচ্ছ্বসিত। ঈদে পরিবার পরিজন নিয়ে পোলাও রান্না করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। নতুন ঘর পাওয়া স্বামীহারা সাবেয়া বেওয়া (৫৯)। তিনি গ্রামে গ্রামে ঝাড়ু বিক্রি করেন। স্বামীর মৃত্যুর পর নিজের জমি বলতে তেমন কিছুই ছিল না। প্রতিবেশীর উঠানের ওপর ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করতেন। এবার তার ঠাঁই হয়েছে উপহারের পাকা ঘরে। তিনি বলেন, আগে অন্যের বারান্দায় কোনোমতে থাকতাম। নিজের জমি ও পাকাঘর পাওয়া আমার কাছে স্বপ্নের মতো। প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আল্লাহ তাকে যুগ যুগ বাঁচিয়ে রাখুন। কথা হয় রিকশা চালক আতিকুর রহমান সঙ্গে। তিনি বলেন, আগে আমার ঘর ছিল না। বউ বাচ্চাক নিয়ে অনেক কষ্টে ছিলাম ভাই। সরকার আমাদের ঘর দিয়েছে সেই ঘরে ঈদ করছি। এর চেয়ে আনন্দের কী হতে পারে। পাকা ঘরে থাকার কথা স্বপ্নেও ভাবিনি। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন বলেন, ইউএনওর সার্বিক পর্যবেক্ষণ ও সহযোগিতায় ঈদের আগে গৃহহীন পরিবারগুলোকে ঘর দেওয়া সম্ভব হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রুবেল রানা জানান, প্রধানমন্ত্রী উপহারের ঘরে প্রথমবারের মতো ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার নিজেদের জমিতে ও নিজেদের পাকা ঘরে ঈদ করতে পারছেন। এটি তাদের জন্য অবশ্যই অনেক আনন্দের। অসহায় পরিবারগুলোর কাছে এটি বেঁচে থাকার নতুন অবলম্বন।