ঢাকা শান্তিতে না থাকলে দিল্লীও শান্তিতে থাকবে না: সোহেল


যদি ঢাকা শান্তিতে না থাকে, দিল্লিও শান্তিতে থাকতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন-নবী-খান সোহেল। আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। শেখ হাসিনার উদ্দেশে হাবিব উন-নবী-খান সোহেল বলেন, ‘আমরা অনেকবার বলেছিলাম, তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেন। শেখ হাসিনাকে বলেছিলাম আমাদের কথা শোনেন, কিন্তু আমাদের কথা শুনলেন না তিনি, শুনলেন দাদাবাবুদের কথা। যদি আমাদের কথা শুনতেন, তাহলে জনগণের এত ক্ষোভ হতো না, এভাবে পালাতে হতো না। এখন বলেন, সীমান্তের ওপারেই আছি। আরে আসেন না।’ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির এ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘যে দলের নেতারা কর্মীদের রেখে পালিয়ে যায় সেই দল কইরেন না।’ শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া ভারতের উদ্দেশে হাবিব উন-নবী-খান সোহেল বলেন, ‘আর একটি কথা বলতে চাই, যারা তাকে আশ্রয় দিয়েছেন। যিনি (শেখ হাসিনা) মাত্র ১৫ দিনে ৯০০ নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করেছে, এর মধ্যে ছোট ছোট বাচ্চাও ছিল। বিগত ১৫-১৬ বছরে বিএনপির শত শত নেতাকর্মীদের যিনি হত্যা করেছেন, গুম করেছেন। আপনারা ভুলে গেছেন। এখান থেকে একটু দূরে শাপলা চত্বর। কীভাবে মাদ্রাসার ছাত্রদের ওপর জুলুম নেমে এসেছিল। পিলখানায় আমাদের ৫৭ জন মেধাবী অফিসারকে মেরে ফেলা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এই সিরিয়াল কিলার শেখ হাসিনাকে আপনারা যারা আশ্রয় দিয়েছেন, তার হাতে আবার ফোনও দিয়েছেন, সেই ফোন কল আবার ফাঁসও করছেন। আবারা নানা ঘটনাও ঘটাচ্ছেন। ফরিদপুরে কালকে একটি মন্দির ভাঙার সময় ভিনদেশি, কোন দেশি তরুণ আটক হয়েছে?’ বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আপনাদের উদ্দেশে বলি, কান পেতে শোনেন।, যদি ঢাকা শান্তিতে না থাকে, দিল্লিও শান্তিতে থাকতে পারবে না। কীভাবে তা করতে হয়, আমরা তা ভালো করে জানি। ওই দেশের দুটো বড় দল আছে, সারা দিন ঝগড়া-ঝাটি করে, কিন্তু একটি জায়গায় তারা একমত তা হলো শেখ হাসিনা। আমাদের দেশে যখন খরা হয় তখন দুই দল তো এসে বলে না আসেন বাংলাদেশকে একটু পানি দেব। যখন বন্যা হয় তখন তো এসে বলে না একটু সহযোগিতা করব। উল্টো তো সব বাঁধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশকে বন্যায় ভাসিয়ে দেন। এখন এক হয়েছেন হাসিনার জন্য।’ শেখ হাসিনাকে ভারতের পুতুল আখ্যা দিয়ে হাবিব উন-নবী-খান সোহেল বলেন, ‘পুতুলটার জন্য অনেক মায়া হয়েছে, তাই না? ১৬ বছর এই পুতুলটাকে নাচিয়েছেন। আপনাদের বলি, কান পেতে শুনুন- মেড ইন ইন্ডিয়া লেখা এই পুতুল বাংলাদেশে আর নাচবে না।’ তিনি বলেন, ‘ওনাদের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সৈন্যবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। আমাদের বক্তব্য- আপনাদের সৈন্য সংখ্যা কত? ১২ লাখ, ১৫ লাখ বা সামান্য কিছু বেশি। এ দেশে যদি কেউ ঢুকতে চায়- কান পেতে শুনুন, বাংলাদেশের সৈন্য সংখ্যা ১৭ কোটি। আমাদের দেশের ছোট বাচ্চাটিও বাংলাদেশের জন্য যুদ্ধ করবে। বাংলাদেশ কিন্তু বলিউডের সিনেমা না, মনে রাখবেন।’ হাবিব উন-নবী-খান সোহেল বলেন, ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনে আমরা বিজয়ের খুব কাছাকাছি আছি। আর একটু বাকি। আশা করছি আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দিক-নির্দেশনায় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই রাস্তাটুকু সফলভাবে অতিক্রম করব।’ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এতে সভাপতিত্ব করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।