দাওগাঁও এ বেপরোয়া বিএনপি নেতা মুনসুর


দাওগাঁও এ বেপরোয়া বিএনপি নেতা মুনসুর
মুক্তাগাছার দাওগাঁও এ চাঁদাবাজী ও শালিস বানিজ্য ও দখলবাজীর অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা মুনসুর। মুনসুর ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক মাওলানা আব্দুল লতিফের মামাত ভাই। ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির ভাই এবং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হওয়ার সুবাদে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে ইউনিয়নের ৭ টি অবৈধ ইটভাটা থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজী, শালিস বানিজ্য ও দখল বানিজ্য চালিয়ে আসছেন। জানাগেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নিজে ও ভাই সভাপতির প্রভাব বিস্তার করে একের পর এক শালিসের নামে বানিজ্য, আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে নিয়ে এলাকায় ডুকতে দেওয়াসহ সকল প্রকার অপকর্ম চালিয়ে আসছেন। টিসিবির পণ্য সাধারণ মানুষের বিতরণ না করে নেতাদের মাঝে ভাগবাটোয়ারাসহ একের পর এক অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। টিসিবির পণ্য না-পেয়ে গত ২০ নভেম্বর মুক্তাগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ওমর আলী নামে এক কার্ডধারী। অভিযোগ করেও প্রতিকার পাননি তিনি। বিএনপির প্রভাব বিস্তার করে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অভিযোগ ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে বলে জানান ওমর আলী। মুনসুরের এমন বেপরোয়া কর্মকান্ডে ইউনিয়ন জুড়ে চলছে আলোচনা ও সমালোচনা। বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝেও তাকে নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। প্রকৃত ও মূলধারার বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ব্যাক্তিরাও প্রকাশ্যে কথা বলতে সাহস পায়না। অভিযুক্ত বিএনপি নেতা মুনসুর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি এসবের সাথে জড়িত নেই। টিসিবি মাল দেওয়ার সময় আমি নেতাদের বলেছি সুন্দর ভাবে বিতরণ করার জন্য। কোন ঝামেলা হলে আমি দায় নিবনা বলেছিলাম। আর ইট ভাটায় যদি চাঁদাবাজি করে থাকি তাহলে আমার সামনে বলতে পারলে যেকোন বিচার মেনে নিব। কিন্তু সামনে এসে বলতে হবে। আমার মামা আ\'লীগের ইউনিয়ন সেক্রেটারি তার কাছ থেকেও ১ টাকাও নেই নাই আমি। তারা এলাকায় আসলে কি আমি না করবো। এগুলো সবকিছু মিথ্যা। দাওগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক মাওলানা আব্দুল লতিফের কাছে জানতে তার ব্যবহৃত নাম্বারে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।