চিরিরবন্দরে আগুনে পুড়ে সয়সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব তিন পরিবার


দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার দক্ষিণ সুকদেবপুর গ্রামের তিনটি বসত বাড়িতে আগুণে লেগে সব কছিু হারিয়ে নিঃশ্ব হয়েছে পরিবারগুলো। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ৩ টার সময় উপজেলার দক্ষিণ সুকদেবপুর গ্রামের ফকির পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোর সাথে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বাড়ির পাশে নাড়ার ঢিপিতে কিভাবে আগুন লাগে বুঝতে পারিনি আমরা সেখানকার আগুনে আসে লাগে ঘরের টিনে । আমার তিন পরিবাররে লোক তখন ঘুমিয়ে ছিলাম।আগুন যখন ঘরের ভিতের দাউ দাউ করে জ্বলছে তখন আমরা দ্রুত ঘরে থেকে বের হয়েছি কোন মত। আমরা মানুষরা ঘর থেকে কোন মত বের হলেও ঘরে রাখা জমানো টাকা, গরু, ছাগল, হাসঁ, মুরগী সহ ঘরের আসবার পত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা বাড়ির সব কিছু হারিয়ে আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি।আমার উপার্জনের একমাত্র ব্যাটারি চালিত ভ্যানটিও পুড়ে ছাই হয়েছে। বাড়ির গরু, ছাগল, জমানো ১৮ হাজার টাকা সহ পড়নের একমাত্র কাপড়টি বাদে সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন আমি পেটের খাবার যোগাবো কি করে নতুন করে থাকার যায়গা তৈরি করব আমার সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। শাহ আলম বলেন, আমার ভাইর বাড়ির সাথে লাগানো আমার বাড়ি। প্রথম আমার ভাইর বাসায় আগুন লাগে আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম ওদের চিৎকার চেঁচামিচিতে আমরা ঘর থেকে বের হয়ে দেখি আমাদের ঘরের টিনেও দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। ঘরের ভিতরে যা ছিলো, আমাদের সমিতির টাকা ছিলো ৭০ হাজার সেটা পুড়িয়ে গেছে বাসার সব আসবাব পত্রও শেষ। আমি ভাটায় কাজ করে কোন মত সংসার চালাই। এখন আমি কিভাবে কি করব বুঝতে পারছি না। স্থানীয় চিরিরবন্দর টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ ও চিরিরবন্দর আইডিয়াল রেসিঃ মডেল স্কুলের পরিচালক মমিনুল ইসলাম মমিন বলেন, আমি বিষয়টি জানার পরে দ্রুত তাদের বাসায় এসে কিছু নগত অর্থ ও তাদের পড়ার জন্য কাপড় কিনে দিয়েছি। বাড়ির সবকিছু পুড়ে পরিবার গুলো নিঃশ্ব হয়েছে। আমি সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পাশে দাড়ানোর জন্য আহবান করছি। চিরিরবন্দর ফায়ারসার্ভিসের স্টেশন অফিসার মাহবুব আলম বলেন, আমরা ঘটনা স্থলে গিয়ে প্রার্থমিক ভাবে ধারান করেছি আগুনের সুত্রপাত আগুনের উত্তাপ্ত ছাই থেকে তিনটি বসতবাড়ি পুড়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, তিনটি বাড়িতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ১ লখ টাকা খতি হয়েছে।